৯১ রানে অলআউট। ৯ উইকেটে হার। ৯২ রানের লক্ষ্য প্রতিপক্ষ পেরিয়েছে ৫৯ বল হাতে রেখে। ক্রাইস্টচার্চে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একরাশ লজ্জাই সঙ্গী হয়েছে পাকিস্তানের।

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে উইকেট ও অব্যবহৃত বলের হিসাবে পাকিস্তান আজই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারার রেকর্ড গড়ল। পাকিস্তান অবশ্য এর আগেও একবার ২০ ওভারের ক্রিকেটে ৯ উইকেটে হেরেছে। সেটি ২০১৮ সালের ঘটনা। হারারেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান।

তবে বলের হিসাবে আজই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারল দলটি। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচেই। পাকিস্তানের ১১৬ রান ৫৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলীয়রা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অব্যবহৃত বলের হিসাবে পাকিস্তানের আজকের হারটা অনেক নিচের দিকেই থাকে। তবে শুধু টেস্ট খেলুড়ে দেশের হিসাব করলে পাকিস্তানের আজকের হারটা থাকে ৯ নম্বরে।

আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দলের বিরুদ্ধে বলের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টা পাকিস্তানেরই.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল র হ স ব উইক ট সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: শোক ও সতর্কতা

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঠিক সন্ধ্যার নামার আগে যখন লেখাটি লিখছি তখন বিশ্বের বিখ্যাত প্রায় সকল সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণের শিরোনামে আছে ভারতের বিমান দুর্ঘটনা। গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস, আলজাজিরাসহ অনেক সংবাদমাধ্যমই ঘটনার লাইভ আপডেট দিচ্ছে। বিমানটি ২৪২ জন আরোহী বহন করছিল, যার গন্তব্য ছিল ভারতের আহমেদাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যের গেটউইক বিমানবন্দর। উড্ডয়নের পরপরই ৮০০ ফুট উঁচু থেকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুর্ঘটনা সবচাইতে ভয়ংকর এ কারণে যে, সেখান থেকে কারও বেঁচে ফেরা কঠিন। আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার আপডেট হিসেবে একজনের বেঁচে থাকার খবর জানা যাচ্ছে, যিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পাশাপাশি যে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়েছে, সেখানকারও অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

বাংলাদেশসংশ্লিষ্ট বিমানের বড় দুর্ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালে। তবে গত ১৬ মে আমাদের অভ্যন্তরীণ একটি বিমান দুর্ঘটনার শঙ্কায় পড়ে। ওইদিন দুপুরে আমরা যখন জানতে পারি, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি উড্ডয়নের পর পেছনের একটি চাকা খুলে পড়ে গেছে, তাতে অনেকেরই বুক দুরু দুরু করছিল। সেই বিমানে ৭১ জন যাত্রী ছিলেন। পাইলটের দক্ষতায় বিমানটি নিরাপদে নামতে সক্ষম হয়। তবে ২০১৮ সালের বিমান দুর্ঘটনা বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছিল। নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলার বিমানটি। সেখানে ৫১ জন যাত্রী ও ক্রু প্রাণ হারান, প্রাণে বেঁচে যান ২০ জন, যাদের অনেকের আঘাত ছিল গুরুতর। অবশ্য বৃহস্পতিবার ভারতের আহমেদাদে যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে তার ভয়াবহতা বলার অপেক্ষা রাখে না। খোদ নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, এ দুর্ঘটনা কতটা হৃদয়বিদারক, তা কথায় বোঝানো যাবে না। 

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে শোক জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। শোক প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। কানাডা, রাশিয়াসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দও শোক জানিয়েছেন। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানে অধিকাংশই ছিলেন ভারতের। তাছাড়া ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে নিহতদের ব্যক্তিগত জীবনও প্রকাশ হবে। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে ছিলেন গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয়। সেখানে আরও গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীও নিশ্চয়ই ছিলেন, জরুরি কাজেই যাচ্ছিলেন কিন্তু দুর্ঘটনায় তাদের জীবনপ্রদীপ নিভে গেলো। 

বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানগুলোতে দুর্ঘটনা খুবই কম ঘটে, কিন্তু দুর্ঘটনার যে হাত-পা নেই, এগুলো বলেকয়ে আসে না। সেজন্য সাবধানতা সর্বত্রই জরুরি। আমরা এখনও নিশ্চিত নই ঠিক কী কারণে এতবড় বিমানটি বিধ্বস্ত হলো। এ দুর্ঘটনা নিশ্চয়ই ইতিহাসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। এত বড় বিমান দুর্ঘটনা কেবল কোনো দেশের নয়, বিশ্বের জন্যই ক্ষতির কারণ। 


মাহফুজুর রহমান মানিক: জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক, সমকাল
mahfuz.manik@gmail.com
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: শোক ও সতর্কতা