লিবিয়ার বেনগাজী থেকে বিপদগ্রস্ত আরো ১৬১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

বৃহস্প‌তিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ত্রিপোলীর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং আইওএমের সহায়তায় বেনগাজী থেকে বিপদগ্রস্ত ১৬১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়েছে। আইওএম থেকে ভাড়াকৃত লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট (ইউজেড২২২) বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৯ মার্চ ২০২৫ বিকেল সাড়ে ৫টায় উড্ডয়ন করে।

দূতাবাস আরো জানায়, আগামী ২৬ মার্চ দেশ‌টি থেকে আরও ১৬০ জনের মতো বাংলাদেশির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এসব বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএমের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু

লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌযানে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়,  রবিবারের এ ঘটনায় নৌযানে মোট ৭৫ জন ছিলেন। বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার। 

আরো পড়ুন:

৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে

শিবচরে হত্যা মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইওএম জানায়, সমুদ্রে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এর আগে গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসী মারা যান এবং অনেকে নিখোঁজ হন।

আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন অভিবাসী ও শরণার্থী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ পথটি অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট।

২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে অর্থ ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ওই কোস্টগার্ডকে স্থানীয় মিলিশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা অভিযোগ রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রাষ্ট্রীয় উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দেওয়া আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন রাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এর ফলে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালানো বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকা পড়ছে। তাদের অনেককে আটক করে অমানবিক পরিবেশে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু