আম্মাজানের’ গারনেট এখন বিএনপি নেতা!
Published: 20th, March 2025 GMT
বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আমলে প্রায় ১৬ বছর গারনেট নিজেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পারভীন ওসমানের অনুসারী হিসেবে দাবি করে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়িয়েছে।
তবে গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ সরকার পতন ঘটলে ক্ষমতা পরিবর্তন করে ঘোষনা দিয়ে যোগদান করেন বিএনপিতে। সকল সুবিধা নিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আবারও রাজনৈতিক খোলস পাল্টে হয়ে গেছেন বিএনপি নেতা। বলছি নারায়ণগঞ্জ কলেজ রোডের বাসিন্দা আবুল হোসেনের পুত্র আফজাল হোসেন গারনেটর কথা।
অভিযোগ রয়েছে, গারনেট নিজেই একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মানুষের সম্পদ নিজের নামে ভাগিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জুট ব্যবসাসহ কয়েকটি রেস্টুরেন্টের মালিক বনে গেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, গত সরকারের আমলে গারনেট নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় তার জমি দখল করে নেন। পরে আওয়ামী লীগের পতন হলে সে ভুক্তভোগী তার জায়গা বুঝে নিতে গেলে গারনেট বর্তমানে বিএনপি নেতা পরিচয় আবারো বাঁধা দেয়।
ছাত্রজনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পূর্বে পারভীন ওসমানের নাম নাম ভাঙিয়ে লুটপাট, চাঁদাবাজী ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তালা এবং দখলসহ নানান অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে আফজাল হোসেন গারনেটের বিরুদ্ধে।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আবারো বিএনপিতে যোগদান করে তার সকল অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ সরক র র র পতন ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”
রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এস