জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমি আপনাদের অ্যাসুরেন্স (নিশ্চয়তা) দিচ্ছি যে, আমরা সব সময় আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা কখনও মনোবল হারাবেন না। মনোবল হারানোর কিছু নেই। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আহতদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনারা জাতির কৃতী সন্তান। আপনারা এ দেশ ও জাতির জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন। আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং আপনাদের এই অ্যাসুরেন্স (নিশ্চয়তা) দিচ্ছি, সব সময় পাশে থাকব।’

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের চেষ্টা থাকবে উল্লেখ করে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২১৫ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি এবং দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই সাহায্য-সহযোগিতা সব সময় জারি থাকবে। আমরা চেষ্টা করব একটি রিহ্যাবিলিটেশনের (পুনর্বাসন) জন্য। সে দিকেই ইনশাআল্লাহ আমরা চেষ্টা করে যাব এবং এই আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা আপনাদের জন্য সব সময় জারি থাকবে। 

আহত ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দিতে সেনাবাহিনী কাজ করছে। ব্যবসায়ী, ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও সহযোগিতা করছে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পক্ষ থেকে পাওয়া অর্থ আহতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) অর্থ সহায়তা করেছে। 
ইফতার অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের খোঁজখবর নেন। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়। 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইফতার ও নৈশভোজে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-ছাত্রী, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসামরিক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালক অংশগ্রহণ করেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪ হাজার ২১৫ জনকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৯৮৯ জন আহতের সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ৩৯ জন সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন দ র সব সময় ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত

কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইম পরিবহন নামের একটি বাস ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুর থেকে সিলেট যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাত ১টার দিকে বাসটি মহাসড়কের আগরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে পূর্ব জগৎচর নামক স্থানে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে রাতে ৯ জনকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আহতদের বরাত দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন নার্স জানান, যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন শেরপুর থেকে আসেন। তারা প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ছাগল নিয়ে সিলেট মাজারে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে হারিছ মিয়া (৫৫) নামে এক যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার স্বজন ফজর আলী (৫০) বলেন, তিনি কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। রাতে তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে বাসে উঠেন। সুনামগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বাকিরা আজ সকালে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুর রহমান বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলে এসে যাত্রী ও তাদের মালামাল উদ্ধার করি এবং বুঝিয়ে দেই। কম বেশি সব যাত্রীই আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে তিন গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
  • চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে কেউ নিচ্ছেন চিকিৎসা, কেউ করাচ্ছেন পরীক্ষা
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে সেবা চালু
  • ১৭ দিন পর কাটলো অচলাবস্থা, চক্ষু হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত
  • কুলিয়ারচরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, ৩০ যাত্রী আহত
  • আহমেদাবাদে দুর্ঘটনাস্থলে নরেন্দ্র মোদী, আহতদের দেখতে গেলেন হাসপাতালে