গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই একটি ট্রাককে পিছনে থেকে দ্রুতগামী অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই হাসান আলী (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত হাসান আলী আলুবাহী ট্রাকের হেল্পার। এ ঘটনায় দুর্ঘটনার শিকার ট্রাকটির চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।

রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ঢাকা-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার খলসী ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসান আলী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের মমদেল হোসেনের ছেলে।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, রাতে মালবোঝাই একটি ট্রাক দিনাজপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় খলসী এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। ট্রাকটি সড়কের পাশে রেখে তারা ইঞ্জিন মেরামত করছিল। ওই সময় ঘোড়াঘাট থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী আরেকটি ট্রাক দ্রুতগতিতে এসে থেমে থাকা ওই ট্রাকে ধাক্কা দেয়। তখন দুটি ট্রাকই রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে হেল্পার হাসান ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত চালককে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি রেখে চালক ও হেল্পার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। তবে, দুর্ঘটনার শিকার দুটো ট্রাক আমাদের হেফাজতে রয়েছে।” 

ঢাকা/লুমেন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ