মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বুধবার (২৬  মার্চ)  দুপুরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের রুহের মাগফিরাত, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়।

বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

আরো পড়ুন:

স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ এবং আজকের বাংলাদেশ 

অর্জন-অগ্রগতি তুলে ধরে জাতিকে সম্ভাবনার বার্তা প্রধান ‍উপদেষ্টার

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছি‌লেন ধর্ম উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন। তি‌নি বলেন, “১৯৭১ সালে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে পেরেছি। সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই আমরা সকলে মিলে কাজ করছি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) আঃ ছালাম খান।

অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, মোঃ মহিউদ্দিন, মোঃ আব্দুল হামিদ খান, মোঃ বজলুর রশীদ, কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সাধারণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা, কোরআনখানি ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ধ নত

এছাড়াও পড়ুন:

শিবিরের এই সাফল্য জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতকে সুবিধা দেবে কি?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ভূমিধস জয় কাউকে কাউকে আনন্দিত করেছে, কাউকে শঙ্কিত বা চিন্তিত করেছে। তবে প্রায় সবাইকে অবাক করেছে। অবাক হওয়ারই কথা। কারণ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত যে ছাত্র সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচয় দিতে পারত না, তাদের এ ধরনের জয় বিস্মিত করার মতো ব্যাপার বৈকি।

এই ফল দেখে কিছু মানুষ এ কারণে খুশি যে কয়েক দশক পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দলের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ হয়ে গেল। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ছাত্রশিবিরের এ জয়ে অনেকে কেন শঙ্কিত বা চিন্তিত?

সম্ভবত এর প্রধান কারণ ছাত্রশিবির জামায়াতে ইসলামীর একটি অঙ্গসংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জামায়াত একটি প্রশ্নবিদ্ধ রাজনৈতিক দল। ১৯৭১ সালে তাঁরা শুধু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল না, দলটি ছিল পাকিস্তানের সামরিক সরকারের সমর্থনপুষ্ট। দলটি কেবল মৌখিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়নি, ইতিহাস বলে, তারা রাজাকার, আলবদর, আলশামস ইত্যাদি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী গড়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় সহায়তা করেছিল।

আরও পড়ুনশিবিরের বিজয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কি নতুন ধারার সূচনা হলো১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ কারণে তাদের বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিবর্জিত করা একটি স্বাধীন দেশের পক্ষে খুব স্বাভাবিক ছিল। তাই এ দেশে জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর অন্তত প্রথম কয়েক বছর রাজনীতি করতে পারেনি। তবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর পটপরিবর্তন হতে শুরু করে। কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব সেই পরিবর্তনকে আরও বেগবান করে।

মূলত জিয়াউর রহমান নতুন দল সৃষ্টির জন্য একটি বিরাট জাল ফেলেছিলেন এবং সেই দলে সব মতের লোকদের অন্তর্ভুক্তি এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছিল। তিনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা হলেও তাঁর নতুন দলে এমন ব্যক্তিদের এনেছিলেন, যাঁরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মুসলিম লীগের শাহ আজিজুর রহমান, যিনি ১৯৭১ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পাকিস্তান সরকারের সাফাই গাওয়ার জন্য। এই আজিজুর রহমানকে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানান।

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয়ীদের উচ্ছ্বাস। এখানেও শিবিরের বড় সাফল্য অর্জিত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩ সেপ্টেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিবিরের এই সাফল্য জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতকে সুবিধা দেবে কি?