যুক্তরাষ্ট্রের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীর নাম রুমেসা ওজতুর্ক (৩০)। বোস্টনের কাছ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশজুড়ে যে প্রবণতা আমরা লক্ষ করছি, তাতে তাঁর (রুমেসা) বাক্‌স্বাধীনতার অধিকারচর্চাই তাঁকে আটক করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।মাশাখানবাবাই, আইনজীবী

রুমেসাকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করায় বোস্টনের ফেডারেল আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী মাশা খানবাবাই।

পিটিশনে আইনজীবী বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে রুমেসা গত মঙ্গলবার তাঁর সমারভিলের বাসা থেকে বাইরে যান। সে সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার১০ মার্চ ২০২৫

রুমেসার সমর্থকেরা বলছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদে বোস্টন থেকে এই প্রথম কোনো অভিবাসী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে সংশ্লিষ্ট থাকায় ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি বংশোদ্ভূত কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বা আটক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে রুমেসা গত মঙ্গলবার তাঁর সমারভিলের বাসা থেকে বাইরে যান। সে সময় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে বাক্‌স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ বলে নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে। তবে এই প্রশাসনের যুক্তি, ফিলিস্তিনপন্থী কিছু বিক্ষোভ ইহুদিবিরোধী ও তা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি লঙ্ঘন করে থাকতে পারে।

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক্সে এক পোস্টে বলেন, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে যে ওজতুর্ক হামাসকে সমর্থন করে এমন কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এটি একটি বিদেশি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন, যারা মার্কিনদের মেরে ফেলাকে সমর্থন করে।

আরও পড়ুনইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল প্রত্যাহার ট্রাম্পের০৭ মার্চ ২০২৫

তুর্কি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, ‘ভিসা একটি বিশেষ সুবিধা, কোনো অধিকার নয়।’

ওই সব কর্মকাণ্ড কী, সেটি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন। টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রকাশনা টাফটস ডেইলিতে প্রকাশিত একটি মতামতের সহরচয়িতা ছিলেন রুমেসা।

ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে নাড়ছেন এক ব্যক্তি। ব্যারিকেডের চারপাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর