পবিত্র ঈদুল ফিতরে বগুড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রথমবারের মতো নারীদের জন্য ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরের সূত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দিন সকাল সাড়ে আটটায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বৈরী আবহাওয়া থাকলে বা বৃষ্টি হলে একই সময়ে বিকল্প ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নিউমার্কেটসংলগ্ন কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ এবং স্টেশন সড়কসংলগ্ন বাইতুর রহমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদে।

কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আসগার আলী। সেখানে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি এবার নারীদের জন্য আলাদাভাবে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রেখেছে বগুড়া পৌরসভা ও জেলা প্রশাসন।

এদিকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও জেলাজুড়ে এবার ১ হাজার ৮০৩টি ঈদগাহ ময়দান ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শহরের সূত্রাপুরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনকালে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান।

ঈদগাহ ময়দানের সাজসজ্জার কাজ চলছে। গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় ঈদগ হ ম ঈদগ হ ময়দ ন মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া