প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। শাহী ঈদগাহের ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামাল উদ্দিন আহমদ। নামাজের আগে বয়ান পেশ করবেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশতাক আহমদ খান।
দরগাহে শাহজালাল (র.
) জামে মসজিদ: নগরীর দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করবেন দরগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আসজাদ আহমদ।
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ: ঐতিহ্যবাহী সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী। জামাতে মহিলা ও শিশুদের জন্য আলাদা প্যান্ডেলের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন সিলেটের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ একরামুল হক ও সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা মিফতাহ উদ্দীন আহমদ।
আরো পড়ুন:
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন
এক টাকায় ১৮ পণ্যের ঈদ উপহার
কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ: নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়, ইমামতি করবেন শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাত হবে সাড়ে ৮টায়, ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মাওলানা মিফতাহ উদ্দিন আহমদ। তৃতীয় জামাত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
কালেক্টরেট মসজিদ: নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। জামাতে ইমামতি করেবন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শাহ আলম।
পাঠানটুলা নবাবী ঈদগাহ: পাঠানটুলা নবাবী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
দারুস সালাম মাদ্রাসা: জামেয়া মদীনাতুল উলুম দারুস সালাম খাসদবীর মাদ্রাসা মাঠে প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
কালীঘাট নবাবী জামে মসজিদ: নবাবী জামে মসজিদ কালীঘাটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সিলাম শাহী ঈদগাহ: দক্ষিণ সুরমার সিলাম শাহী ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/নুর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব মসজ দ র ন আহমদ ঈদগ হ করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব