ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার মহাকাশবিজ্ঞান বিভাগে পড়েছি। সেই সুবাদে মালয়েশিয়ার রোজা-ঈদ কাছ থেকে দেখা হয়েছে।

মালয়েশিয়াতে রোজার প্রথম দিন থেকেই আতশবাজি ফুটানো হয়। মসজিদে ইফতারের ব্যবস্থা থাকে। মালয়েশিয়ায় আমার প্রথম রোজা কেটেছিল করোনা-পরবর্তী সময়ে। তখন অবশ্য মসজিদে ইফতার হতো না। খাবার প্যাকেট করে দিয়ে দিত। একা একা ইফতার করতে খারাপ লাগত। পরিবারের অভাব বোধ করতাম। রোজার শেষ ১০ দিন আমার জন্য ছিল আরও কঠিন। কোনো কেনাকাটা নাই, দেশি পোশাক খুব বেশি পাওয়া যায় না। বাঙালি কমিউনিটি মাঝেমধ্যে ইফতারের আয়োজন করত, সেই সময়টা উপভোগ করতাম।

২০২৩ সালের রোজার সময়টা অনেক ভালো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে ইফতার করতাম। বেশির ভাগ সময় ভাত, মুরগি অথবা গরুর মাংস দেওয়া হতো। সেগুলো আবার পাঁচজন একসঙ্গে খেতাম। এটা আমার কাছে অনেক মজার ছিল—চিনি না, জানি না, পরিচয় নেই অথচ এক থালায় বসে ইফতার করছি! ঈদের নামাজও বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে পড়েছি। এটা ছিল অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা। কারণ, সেবারই প্রথম ঈদের নামাজ মসজিদে পড়ি। বাসায় এসে রান্না করি। একা কিছু খেতে ইচ্ছা করছিল না। বিরক্ত লাগছিল। দেরি না করে ল্যাবে চলে গেলাম। সেখানে কফি খাওয়া, জার্নাল লেখা, গবেষণা প্রবন্ধ পড়া একসঙ্গে চলল।

প্রথমবার যখন ঈদের সময়টা ল্যাবে কাটাই, একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। পরেরবার সবকিছু অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। আমার কাজের নির্দিষ্ট সময় ছিল না। কাজ করতে করতে অনেক সময় আট-নয় ঘণ্টা পার হয়ে যেত। আবার, মাঝেমধ্যে রাতেও থাকতাম। রোজার সময় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকা হতো। আমি মূলত মহাকাশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস (স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্ট) নিয়ে কাজ করতাম। সারা দেশের মানুষ যখন চাঁদ দেখা না–দেখার রোমাঞ্চে বুঁদ, তখন চাঁদের মতো আরও বহু গ্রহ-উপগ্রহের দুনিয়া নিয়ে গবেষণায় ডুবে থাকারও একটা আলাদা আনন্দ আছে।

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) গবেষণা সহকারী সাদিয়া মোস্তফা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মসজ দ ইফত র করত ম

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাগদানের গুঞ্জনের মাঝে হুমার রহস্যময় পোস্ট
  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল