রাজশাহীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল ৮টায়
Published: 31st, March 2025 GMT
রাজশাহীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। তবে, যদি আবহাওয়া অনুকূল না থাকে, তাহলে জামাতটি হবে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই সেখানে ঈদের দুটি অতিরিক্ত জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে, প্রথমটি ৮টা এবং দ্বিতীয়টি সাড়ে ৮টায়।
প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন রাজারহাতা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো.
রাজশাহীতে দ্বিতীয় প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে টিকাপাড়া মহানগর ঈদগাহে মাঠে।
সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদে জিরোপয়েন্টে তৃতীয় বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮টায়। প্রথমবারের মতো এখানে নারীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও প্যান্ডেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে র্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও মাইন সুইপিং টিমের পক্ষ থেকে এ তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা শেষে র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল- রাজেক জানান, রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে এজন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে র্যাবও সোচ্চার রয়েছে। এজন্য নিয়মিত টহল কার্যক্রম ও তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবেলায় র্যাব সোচ্চার রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ত মসজ দ ঈদগ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত সেই মোজাম্মেল
হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব-রেজিস্ট্রার মোজাম্মেল হক পলাতক রয়েছেন। তিনি কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে কর্সস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে, হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিষয়টি সামনে এলে ওই কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা ইমাম পরিষদ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন থেকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করে আসছিলেন। অথচ মহান আল্লাহ স্বয়ং মহানবী (স.) এর চরিত্রের সনদ দিয়েছেন। সমস্ত পৃথিবীর রহমত স্বরূপ তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। তার এ হীন কাজের জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরো পড়ুন:
রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তিকারী ইবি কর্মকর্তার বহিষ্কার দাবি
নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাহার দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সারা দেশের মানুষকে আলোর পথ দেখাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এবং আল হাদিস বিভাগের কর্মকর্তার রাসূলের শানে এ ধরনের বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রশাসনের কাছে এই কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে নারীলোভী ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চরম কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেছে যা দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হেনেছে। এমন ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য শুধু ধর্মীয় সহনশীলতা নষ্ট করে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে গেছে। তবে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক বিভাগে আসছে না। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মহানবী (সা.)-কে কটুক্তিকারী মোজাম্মেল হক ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মহানবী (সা.)-কে নারীলোভী বলে কটুক্তি করার অভিযোগে গ্রামবাসী তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মৌখিক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী