নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া (আসাম পাড়া) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান হাবিব আসাম পাড়া গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দিনের ছেলে। হাবিব একই উপজেলায় দিয়ারকাজিপুর (ত্রিমোহনী) বাজারে ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাবিব নিজ ঘরে  সদ্য প্লাস্টার করা মেঝে ও দেয়ালে সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি দিচ্ছিলেন। বৈদ্যুতিক বাল্বের একটি ঝুলন্ত হোল্ডার যাতে না ভিজে যায়, সেজন্য সেটি এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে থাকা পাইপ দিয়ে পানি ছিটাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হাতে থাকা বৈদ্যুতিক বাল্বের হোল্ডারটি ভেজা মেঝেতে পড়ে ভেঙে যায়। এতে হাবিব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক হাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন। 

হাবিবের প্রতিবেশী ওহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাবিব ১৪ দিন আগে বিয়ে করেছেন। আজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে আসার কথা ছিল।

ঢাকা/নাটোর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ