নাটোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
Published: 1st, April 2025 GMT
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাবিবুর রহমান হাবিব (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘড়িয়া (আসাম পাড়া) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব আসাম পাড়া গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দিনের ছেলে। হাবিব একই উপজেলায় দিয়ারকাজিপুর (ত্রিমোহনী) বাজারে ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাবিব নিজ ঘরে সদ্য প্লাস্টার করা মেঝে ও দেয়ালে সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি দিচ্ছিলেন। বৈদ্যুতিক বাল্বের একটি ঝুলন্ত হোল্ডার যাতে না ভিজে যায়, সেজন্য সেটি এক হাতে নিয়ে অন্য হাতে থাকা পাইপ দিয়ে পানি ছিটাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে হাতে থাকা বৈদ্যুতিক বাল্বের হোল্ডারটি ভেজা মেঝেতে পড়ে ভেঙে যায়। এতে হাবিব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক হাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাবিবের প্রতিবেশী ওহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাবিব ১৪ দিন আগে বিয়ে করেছেন। আজ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়িতে আসার কথা ছিল।
ঢাকা/নাটোর/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫