নাটোরের লালপুর উপজেলার বালিতিতা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে জয় বাংলা লেখা ভেসে উঠেছে। এতে লেখা ছিল বাংলা আমার অহংকার, তাই বাংলার দিকে যে তাকাবে তার চোখ উপড়ে নেওয়া হবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মসজিদটির ডিজটাল সাইনবোর্ডে এই লেখা ভেসে ওঠে।

পরে মসজিদ কতৃপক্ষ সাইনবোর্ডের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দিলে তা আর দেখা যায়নি।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
 
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোডে লেখাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সাইনবোর্ডটি বন্ধ করে নামিয়ে ফেলেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে এমন লেখা কী করে আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এরআগে, ঈদের দিন বালিতিতা পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে রামকৃষ্ণপুরে ঈদের নামাজের পর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ জন আহত হন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মসজ দ র ড জ ট ল ট ল স ইনব স ইনব র ড

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো ইরান

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। রবিবার মধ্যরাতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর, সোমবার (১৬ জুন) ভোর হতে না হতেই দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান।সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে ইরানের এটি দশম আক্রমণ।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড সাধারণ ইসরায়েলিদের বোমা শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে।

তেহরান টাইমস জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় সরাসরি আঘাত হানে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কঠোর সেন্সরশিপ সত্ত্বেও, অনলাইনে প্রচারিত ফুটেজে হাইফায় একটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগুনে পুড়ে গেছে বলে দেখা গেছে। অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। তেল আবিবের একাধিক স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইসরায়েলের হামলা

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

রবিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি এবং কিরিয়াত গাটের কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি হাইফার অন্যান্য অঞ্চলগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে ইসরায়েলের সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

আগের দিনগুলোতে, ইরান ইসরায়েলের বৃহত্তম তেল শোধনাগার এবং ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করেছে।

শুক্রবার ভোরে তেহরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা চালানোর পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা, ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ২২০ জনেরও বেশি ইরানি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইরান ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ না করা পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ