আইপিএলের জন্য ধোনির থাকা আবশ্যক: ক্রিস গেইল
Published: 2nd, April 2025 GMT
মহেন্দ্র সিং ধোনি—যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও ৪৩ বছর বয়সেও আইপিএল খেলছেন এই কিংবদন্তি। তবে তার ব্যাটিং পজিশন ও পারফরম্যান্স নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তিন ম্যাচেই ধোনি ব্যাট হাতে এসেছেন লোয়ার অর্ডারে। প্রথম ম্যাচে ৮ নম্বরে নামলেও, ব্যাট করবার আগেই দল জয় পেয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ নম্বরে নেমে ১৬ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও দল হেরে যায়। তৃতীয় ম্যাচে ৭ নম্বরে নেমে ১১ বলে ১৬ রান করেন, তবে দলকে জেতাতে পারেননি।
ধোনির এই নিচের দিকে ব্যাটিং করার পেছনে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চেন্নাইয়ের প্রধান কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। তার মতে, ফিটনেস সমস্যাই এর প্রধান কারণ। ফ্লেমিং বলেন, ‘‘ধোনি তার শরীর সম্পর্কে সচেতন। তার হাঁটু আগের মতো নেই, যদিও বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং এবং উইকেটকিপিং করা তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার
আইপিএলে নতুন দায়িত্ব নিয়ে আসছেন ধোনি
এই প্রসঙ্গে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, অন্য কোনো ক্রিকেটার হলে কি এতটা সুযোগ পেতেন? তবে কিংবদন্তি ক্যারিবীয় ব্যাটার ক্রিস গেইল সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেন। গেইলের মতে, ধোনি শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নন, তিনি আইপিএলের জন্য অপরিহার্য।
এক সাক্ষাৎকারে গেইল বলেন, ‘‘ধোনির অবদান তুলনাহীন। তার উপস্থিতিই আইপিএলকে নতুন মাত্রা দেয়। তাকে নিয়ে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বরং তার মতো কিংবদন্তির প্রতি সম্মান জানানো দরকার। কারণ, তিনি আইপিএলকে অনেক কিছু দিয়েছেন।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।