১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। সে হিসেবে আজ শুক্রবার পাঁচ দশক পূর্তি উদ্‌যাপন করছে শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফটের পাঁচ দশক পূর্তি উপলক্ষে গত বুধবার গেটস নোটস ব্লগে নিজের লেখা মাইক্রোসফটের প্রথম সফটওয়্যারের সোর্স কোড উন্মুক্ত করেছেন বিল গেটস। তাঁর ভাষায়, এটিই তাঁর লেখা ‘সবচেয়ে দুর্দান্ত কোড’।

গেটস নোটস ব্লগে বিল গেটস লিখেছেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের ৫০ বছর পার করা অবশ্যই বিশাল অর্জন। স্টিভ বলমার ও সত্য নাদেলার নেতৃত্বে মাইক্রোসফটের অসংখ্য মেধাবী কর্মীর নিরলস পরিশ্রমের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এখনো মনে হয়, যেন সেদিনই হার্ভার্ডের কম্পিউটার ল্যাবে পিডিপি-১০ কম্পিউটারের সামনে পল অ্যালেন আর আমি বসে সেই কোড লিখছি, যা একসময় আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম পণ্য হয়ে ওঠে। মাইক্রোসফটের প্রথম সফটওয়্যার তৈরির সেই কোড এখন যে কেউ বিনা মূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।’

আরও পড়ুননিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাইক্রোসফটের যাত্রা শুরুর গল্পও উঠে এসেছে গেটসের লেখায়। তিনি জানান, ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে পপুলার ইলেকট্রনিকস সাময়িকীর প্রচ্ছদে আলতাইর ৮৮০০ নামে একটি পার্সোনাল কম্পিউটারের ছবি ছাপা হয়। এটি তৈরি করেছিল ‘এমআইটিএস’ নামের একটি ছোট প্রতিষ্ঠান। সে সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন বিল গেটস ও তাঁর বন্ধু পল অ্যালেন। তাঁরা আলতাইর ৮৮০০-এর নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান, তাঁরা এই কম্পিউটারের জন্য আলতাইর বেসিক সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুনবিল গেটস, স্টিভ জবসদের সন্তানেরা কে কোথায়, কী করেন তাঁরা?১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

এ বিষয়ে বিল গেটস লিখেছেন, ‘আমাদের হাতে কিছুই ছিল না। কিন্তু জানতাম, দ্রুত কিছু করতে হবে। এরপর শুরু হলো দিন–রাত নিরলস পরিশ্রম। টানা দুই মাস কঠোর পরিশ্রম করে আমরা সেই সফটওয়্যার তৈরি করলাম। সেখান থেকেই প্রযুক্তির নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। আলতাইর বেসিকই ছিল আমাদের নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রথম পণ্য। তখন প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মাইক্রো-সফট’। পরে নাম থেকে হাইফেন বাদ দিয়ে ‘মাইক্রোসফট’ করা হয়।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও পড়ুনবিল গেটসের যেসব ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়নি০৫ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সফটওয় য র ন ব ল গ টস র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

উইন্ডোজ ১১ আপডেট করতে না পারার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মাইক্রোসফট

মাইক্রোসফটের নিষেধাজ্ঞার কারণে এত দিন চাইলেও ইজি অ্যান্টি-চিট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীরা নিজেদের কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১-এর ২০২৪ সংস্করণ (২৪এইচ২) ইনস্টল করতে পারছিলেন না। এ সমস্যা সমাধানে উইন্ডোজের ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ (বিএসওডি) ত্রুটির সমাধান করে উইন্ডোজ ১১-এর ইমার্জেন্সি আপডেট উন্মুক্ত করার পাশাপাশি ইজি অ্যান্টি-চিট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মাইক্রোসফট। ফলে এখন থেকে ইজি অ্যান্টি-চিট সফটওয়্যার ব্যবহারকারী সহজেই কম্পিউটারে উইন্ডোজের ১১-এর সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, ইজি অ্যান্টি-চিট সফটওয়্যার ইনস্টল থাকা অবস্থায় উইন্ডোজ ২৪এইচ২ আপডেট করতে গেলে কিছু কম্পিউটারে হঠাৎ রিস্টার্ট এবং বিএসওডি সমস্যা হতো। এই ত্রুটি দূর করে নতুন হালনাগাদ উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইজি অ্যান্টি-চিট একটি বহুল ব্যবহৃত গেম সুরক্ষা সফটওয়্যার, যা অ্যাপেক্স লেজেন্ডস, ওয়ার থান্ডার, ডেড বাই ডেলাইট, এলডেন রিং, রাস্ট, স্কোয়াড ও এনবিএ টু কে ২৫সহ অসংখ্য অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমে ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, যেসব কম্পিউটারে অন্য কোনো আপডেটসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা নেই, সেগুলো এখন উইন্ডোজ আপডেটের মাধ্যমে ২৪এইচ২ সংস্করণ ইনস্টল করতে পারবে। তবে কিছু ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একটি সতর্কবার্তা দেখা যেতে পারে। যেখানে জানানো হবে সিস্টেমে ইজি অ্যান্টি-চিটের এমন একটি সংস্করণ ইনস্টল আছে, যা নতুন উইন্ডোজ সংস্করণের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ অবস্থায় নিয়মিত খেলা গেম চালুর মাধ্যমে ইজি অ্যান্টি-চিট সফটওয়্যারটি হালনাগাদ করে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, কম্পিউটারে ইজি অ্যান্টি-চিটের পুরোনো সংস্করণ ইনস্টল থাকলেও গেম চালিয়ে সেটি সক্রিয় করা হলে বিএসওডি সমস্যা দেখা দেবে না।

২০২৪ সালের অক্টোবরে মাইক্রোসফট ইন্টেলের অ্যাল্ডার লেক ও ভি-প্রো প্ল্যাটফর্মচালিত যন্ত্রেও একই ধরনের সমস্যার কারণে ২৪এইচ২ আপডেট স্থগিত করেছিল। ওই সময় ‘অ্যাসফল্ট ৮’ গেম ক্র্যাশ হওয়া এবং ইজি অ্যান্টি-চিট সক্রিয় থাকলে ব্লু স্ক্রিন দেখা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সমস্যা সমাধান করে চলতি বছরের মার্চে সেই আপডেট নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উইন্ডোজ ১১ আপডেট করতে না পারার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মাইক্রোসফট