চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কৃষিজমিতে ইঁদুর মারার জন্য পাতা ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লক্ষ্মীপুর গ্রামে মিজানুর রহমান মুন্সির ধানক্ষেতে সেচ পাম্প দিয়ে পানি দিতে যায় একই গ্রামের দরবেশ বাড়ির আলী আর্শাদের ছেলে শরিফ (২৮)। কৃষিজমিতে ইঁদুর মারার জন্য বিদ্যুতের লাইন টেনে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিল। সেচ পাম্প চালু করতে পানি আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন শরিফ। পরে মিজানুর রহমান মুন্সির বাড়ির লোকজন তাকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত শরিফের দুলাভাই রাকিব বলেছেন, শরিফের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। জমির মালিক মিজান মুন্সি যদি ইঁদুর মারতে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে থাকেন, তাহলে ভোরবেলা খুলে ফেলতে হতো। কিন্তু, তিনি তা করেননি। এভাবে বিদ্যুতের লাইন টানা অপরাধ। মিজান মুন্সির এই ভুলের কারণেই শরিফের মৃত্যু হয়েছে।

জমির মালিক মিজানুর রহমান মুন্সির স্ত্রী নয়নমনি বেগম বলেন, শরিফ কীভাবে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়েছে, তা আমরা জানি না। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বিদুতের তার জব্দ করে থানায় নিয়েছে। 

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, শরিফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/জয়/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘জামাই-শ্বশুরের’ দোকানে চা–পান করতে আসেন দূরের লোকজনও

কবির হোসেন (৩৬) ও তাঁর শ্বশুর সোলেমান মোল্লা (৫৫) মিলে বছর পাঁচেক আগে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেন। জামাতা-শ্বশুরের যৌথ অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় চলছে চায়ের দোকানটি। দুজনে মিলে প্রতিদিন গড়ে বিক্রি করেন প্রায় ৩০০ কাপ দুধ-চা। প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার টাকার চা বিক্রি হয় দোকানটিতে।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন এখানে ‘খাঁটি দুধের চা’ পান করতে আসেন। গাভীর দুধ দিয়ে জামাতা-শ্বশুরের হাতের পরম যত্নে বানানো সুস্বাদু ওই দুধ-চা স্থানীয় লোকজনের কাছে বেশ সমাদৃত। দূর থেকেও অনেকে আসেন চা–পান করতে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জামাই-শ্বশুরের’ চায়ের দোকান হিসেবে পরিচিত। দোকান থেকে উপার্জিত আয় দিয়েই চলছে তাঁদের সংসার।

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের কলেজগেট এলাকায় চায়ের ওই দোকানের অবস্থান। জামাতা কবির হোসেনের বাড়ি উপজেলার পৈলপাড়া গ্রামে। কবিরের শ্বশুর সোলেমান মোল্লার বাড়ি উপজেলার নবকলস গ্রামে।

সম্প্রতি এক সকালে ওই চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড়। ছোট্ট পরিসরে সাজানো টুল-টেবিলে বসে চা–পান করতে করতে আড্ডা দিচ্ছেন তাঁরা। রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তর্ক চলছে সেখানে। ক্রেতাদের চা পরিবেশনায় ব্যস্ত শ্বশুর-জামাতা।

কাজের ফাঁকে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। কবির হোসেন বলেন, তাঁর একমাত্র শ্যালক মানসিক প্রতিবন্ধী। তাঁর শ্বশুরের আর কোনো ছেলে না থাকায় তাঁকেই (কবির) ছেলে মনে করেন তিনি। তাঁর বাবা মারা গেছেন অনেক আগে। এ জন্য শ্বশুরকেই বাবার আসনে বসিয়েছেন। পাঁচ বছর আগে দুজনে মিলে ভাড়া করা এই চায়ের দোকানটি দিয়েছেন। নিজে সাতটি গাভী পালনপালন করেন। ওই গাভীর দুধ দিয়ে চা তৈরি করে বিক্রি করেন তাঁরা। তিনি ও তাঁর শ্বশুর পালা করে দোকানে বসেন এবং চা বিক্রি করেন। উপজেলা সদর ও আশপাশের এলাকা ছাড়াও চাঁদপুর জেলা শহর ও মতলব উত্তর উপজেলা থেকেও লোকজন এই দোকানে আসেন চা–পান করতে।

ক্রেতাদের হাতে দুধ-চা তুলে দিচ্ছেন কবির হোসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল
  • ‘জামাই-শ্বশুরের’ দোকানে চা–পান করতে আসেন দূরের লোকজনও