গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান বয়েজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনার পাঁচ বছর পর মামলা হয়েছে। ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ মো. শাহিন মিয়ার বাবা শান্তিরাম ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী গত বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এতে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। মামলায় শান্তিরাম ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো.
এজাহারে বলা হয়েছে, ভোট চলাকালে ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে জয়ী করতে ভোটার এবং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর পর লাঙল মার্কায় সিল মারতে থাকেন আসামিরা। ভোটাররা প্রতিবাদ করলে আসামি রুবেল মিয়া তাঁর কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে শাহিন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদী মো. আইয়ুব আলী বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দলীয় প্রভাবের কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেই তিনি মামলা করেছেন।
বাদী এজাহার দায়ের করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সুন্দর থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ। তিনি বলেন, কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।