গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের ইসলামিয়া কলেজের সামনে জড়ো হন সহস্রাধিক লোকজন। পরে কলেজটির মাঠে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মজমপুর হয়ে চৌড়হাস মোড়ে এরোপ্লেন চত্বরে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে সবাই ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, মুসলিম উম্মাহ জেগেছে’, ‘ওয়ান টু থ্রি, অকুপেশন নো মোর’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা, আল জিহাদ আল জিহাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
চৌড়হাস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহা বলেন, ‘১৯৪৮ সালে অবৈধভাবে জন্ম হয় ইসরায়েলের। এ রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছিল সন্ত্রাসের মাধ্যমে, অন্ধকারের ভেতরে। আমরা সেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের মদদদাতা আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির ইহুদিদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। আমরা মুসলমানরা ঘুমিয়ে যাইনি এখনও। গণহত্যা এভাবেই চলতে থাকলে জীবন দিয়ে প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্য সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কের রাব্বী, আল-খিদমাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হৃদয়, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা রেজাউর রহমান রিন্টু, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কুষ্টিয়া শহর শাখার সভাপতি সেলিম রেজা প্রমুখ। এ সময় আব্দুর রাশেদ, আশরাফ পারভেজ, মাসুদ মর্তুজা, সাব্বির, শোয়েব হাসান রায়ান, আব্দুল মমিন, মিজান, মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।
সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।
এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।