কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা
Published: 8th, April 2025 GMT
কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ গিয়াসউদ্দিন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিগত দিনগুলোতে ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে গডফাদার শামীম ওসমান ও তার দোসররা যে দূর্নাম করে গেছে সেই দূর্নাম মুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগ যে দুঃশাসন করে গিয়েছে তার বিপরীতে আমাদেরকে ভালো কাজ করতে হবে।
জনগণের পক্ষে কাজ করতে হবে, জনগণ যা চায় সেভাবে করতে হবে। আগামী দিনে যেন আমাদের সন্তানেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে তেমন একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, মানুষ মানুষকে সম্মান করবে। ভালো মানুষের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে স্কুল-কলেজে, মসজিদ-মাদ্রাসা কোথাও ভালো মানুষের অবস্থান ছিলোনা। সেখানে দলীয়করণ করা হয়েছিলো। যে মানুষ নামাজ পড়েনা, রোজা রাখেনা তাকেও মসজিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। অটোপাশ দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো। তাই এগুলোকে সংশোধন করে ভালোর দিকে নিয়ে যেতে হবে।
এজন্য আগামী দিনে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্যের পূর্বে আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে আরো অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব