এআই কি মানবজাতির ধ্বংসের কারণ হবে
Published: 9th, April 2025 GMT
ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠছে। আর তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে কি না, তা জানতে চান অনেকেই। শুধু তা–ই নয়, এআই মানুষের কোন ধরনের কাজ কেড়ে নেবে, তা নিয়েও বিশ্বজুড়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। অনেকেরই ধারণা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে মানুষের চেয়ে স্মার্ট হবে। এর ফলে এআই মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও মনে করেন তাঁরা।
মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স (এজিআই) বলা হয়ে থাকে। সম্প্রতি গুগল ডিপমাইন্ডের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের আগেই এজিআই মাত্রার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দেখা মিলতে পারে। তখন বিশ্বজুড়ে এজিআইয়ের বিশাল সম্ভাবনা ও প্রভাব থাকবে। এর ফলে মানবজাতি অস্তিত্বের ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এমনকি মানবতাকে স্থায়ীভাবে ধ্বংসও করতে পারে এজিআই।
ডিপমাইন্ডের গবেষণায় এজিআইয়ের ঝুঁকিকে এআইয়ের অপব্যবহার, ভুল ক্ষেত্রে প্রয়োগ, এআইয়ের ভুল ও কাঠামোগত ঝুঁকি—এ চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। গবেষণায় ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরা হলেও এজিআইয়ের কারণে কীভাবে মানবসভ্যতা ধ্বংস হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে মানবজাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি এজিআই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও তত্ত্বাবধানের জন্য জাতিসংঘের আদলে সংস্থা তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেমিস হাসাবিস।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেমিস হাসাবিস এজিআইয়ের প্রভাব নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এজিআই প্রযুক্তির দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।
মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস