যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) নতুন পরিচালক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ক্যাশ প্যাটেলকে দেশটির মাদক, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরোর (এটিএফ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে সরানো হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে ক্যাশ প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের আর্মি সেক্রেটারি ড্যানিয়েল ড্রিসকোল। 

এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক পদ নিশ্চিত হওয়ার পর ক্যাশ প্যাটেলকে এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্যাটেল। এর তিনদিন আগে প্যাটেল এফবিআইয়ের প্রধান হয়েছিলেন।

এটিএফের নেতৃত্বে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়ে রয়টার্স প্রথম খবর প্রকাশ করেছিল্ তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। বুধবার বিকেল পর্যন্ত এটিএফের ওয়েবসাইটে প্রধান হিসেবে প্যাটেলের নাম ও ছবি ছিল।

আরও পড়ুনদেড় হাজার কর্মীকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেলের২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ক্যাশ প্যাটেল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হয়েছিল। এ সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র–সংক্রান্ত আইন কার্যকর করে থাকে।

এটিএফ প্রধান হিসেবে ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়নের ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতারা ছাড়াও মধ্যপন্থী দুজন রিপাবলিকান নেতা।

আরও পড়ুনএফবিআইপ্রধান ক্যাশ প্যাটেলকে মাদক, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বও দিচ্ছেন ট্রাম্প২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ