এফবিআইপ্রধান প্যাটেলকে মাদক, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্ব থেকে সরালেন ট্রাম্প
Published: 10th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) নতুন পরিচালক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ক্যাশ প্যাটেলকে দেশটির মাদক, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যুরোর (এটিএফ) ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে সরানো হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে ক্যাশ প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের আর্মি সেক্রেটারি ড্যানিয়েল ড্রিসকোল।
এফবিআইয়ের নতুন পরিচালক পদ নিশ্চিত হওয়ার পর ক্যাশ প্যাটেলকে এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন প্যাটেল। এর তিনদিন আগে প্যাটেল এফবিআইয়ের প্রধান হয়েছিলেন।
এটিএফের নেতৃত্বে সম্ভাব্য পরিবর্তনের বিষয়ে রয়টার্স প্রথম খবর প্রকাশ করেছিল্ তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। বুধবার বিকেল পর্যন্ত এটিএফের ওয়েবসাইটে প্রধান হিসেবে প্যাটেলের নাম ও ছবি ছিল।
আরও পড়ুনদেড় হাজার কর্মীকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা এফবিআই প্রধান ক্যাশ প্যাটেলের২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ক্যাশ প্যাটেল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। বাড়তি দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে এটিএফের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হয়েছিল। এ সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্নেয়াস্ত্র–সংক্রান্ত আইন কার্যকর করে থাকে।
এটিএফ প্রধান হিসেবে ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়নের ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতারা ছাড়াও মধ্যপন্থী দুজন রিপাবলিকান নেতা।
আরও পড়ুনএফবিআইপ্রধান ক্যাশ প্যাটেলকে মাদক, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্রবিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বও দিচ্ছেন ট্রাম্প২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।