ইসরায়েলী নৃশংসতার প্রতিবাদে বন্দরে শাহাজাদা জিলানীর বিক্ষোভ
Published: 11th, April 2025 GMT
গাজা ও রাফায় ইজরায়েলী বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মাহাবুবুল হক নূরে বাংলা হুজুরের শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী ও জিলানী গ্রুপের কর্ণধার পেয়ার মোঃ রকি এর উদ্যোগে বন্দরে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বাদ জুমা স্বল্পের চক বায়তুন নূর জামে মসজিদ থেকে হুজুরের শাহাজাদার ডাকে ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পে ও নেতা নিয়াহুর ছবিতে থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী বলেন, এমন একটা দিন আসবে বিশ্বের মানচিত্রে থেকে ইজরায়েলী নামক কোন দেশ থাকবেনা। বিশ্বের মানচিত্রে একমাত্র ফিলিস্তিনি স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকবে। আমরা ঐ দিনের অপেক্ষায় আছি।
আল্লাহ যে ভাবে হযরত মুসা (আঃ) এর জমানায় ফেরাউনকে পতন ঘটিয়েছে। হযরত নূহ (আঃ) জমানায় যেভাবে নবউতকে পতন ঘটিয়েছে। আমরা অপেক্ষায় আছি ইমাম মাহাদী আসবেন ইহুদীদের পতন ঘটাবেন। আল্লাহ আবাবিল পাখি পাঠাবেন ইহুদের ধ্বংশ করার জন্য। আল্লহ রাব্বুল আল-আমিন জিবরাহিল সহ ফেরেস্তাদের পাঠাবেন ইহুদীদের ধ্বংশ করার জন্য।
তিনি আরোও বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছেন ইজরায়েলীরা গাজা দখল করবে। এতে কেউ বাধাগ্রস্থ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নিবে। এ সমাজ থেকে ড.
দোকানি ভাইয়েরা আপনারা ইজরায়েলী পণ্য ফেলে দেন আল্লাহ আপনাদের সহায়ক হবেন। আজ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যারা যুদ্ধ করছেন তাদের হাতে অস্ত্র নেই। আমাদের স্বাদ আছে সাধ্য নাই তাই পন্য বয়কট করতে হবে। এতেই আমাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।
আমরা তাদের যোগান দিতে চাই মুসলমান ভাইয়েরা একা নন। কিছু না করতে পারলেও নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ আন্দোলন করে ফিলিস্তিনি গাজাবাসীর পাশে থাকব।
হুজুরের শাহাজাদা ও জীলানী গ্রুপের কর্ণধার পেয়ার মোঃ রকির সভাপতিত্বে এসময় সক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা মাহাবুবুল হক নূরে বাংলা হুজুরের শাহাজাদা রাকিব হাসান জিলানী, বন্দর কেন্দ্রীয় কবরস্থান রোড পঞ্চায়ত কমিটির সভাপতি সোহেল খান বাবু, স্বল্পের চক বায়তুন নূর জামে মসজিদ মোতোয়াল্লী মোঃ কালাম, কোষাধক্ষ মীর মামুন, শরিফ দেওয়ান, মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুর রহমান, নয়ন বেপারী।
এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন, মোঃ জিহাদ, তৌছিফ, মোঃ রবিন, পারভেজ, সৌরভ, রুবেল, ওহাব, আকাশ, মনির হোসেন, সাইফুল প্রমুখ।
ফিলিস্তিনি গাজায় শিশু সহ নিহত আহত সকল জনগণের জন্য ও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জামেয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শাহ্ মোয়াজ্জাম আল আজহারী।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইজর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
জ্বালানি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করার অঙ্গীকার করেছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মনোনীত যুব সংসদের সদস্যরা। তাঁরা বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জনগণের মৌলিক অধিকার। জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই সংগ্রামের অঙ্গীকার। জ্বালানি সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ক্যাব আয়োজিত প্রথম জ্বালানি যুব সংসদীয় অধিবেশনের শেষ দিনে আজ শনিবার এমন ঘোষণা পাঠ করে শপথ নেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে শুক্রবার শুরু হওয়া দুই দিনের এ সংসদ শেষ হয় আজ।
শপথে আরও বলা হয়, জ্বালানি সংস্কার এই জ্বালানি অপরাধীদের বিচার দাবিকে জন–আন্দোলনের পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এলাকায় লোডশেডিং একটা পরিচিত শব্দ। তারা শিক্ষিত না হলেও এটা জানে। একটা অসমতা রয়ে গেছে। আবার কৃষিতে বিদ্যুতের যে দাম, মাছ চাষ বা পোলট্রি খাতে সেই দামে দেওয়া হয় না। এটা করতে হলে ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে। এখন বিইআরসির অনুমোদন লাগবে।
যুব সংসদের সপ্তম অধিবেশনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে টাকা লুটপাট করাই ছিল ফ্যাসিবাদের সময় মূল কাজ। গত সরকার নিজেদের পকেটে টাকা ঢোকাতে সেদিকে নজর দিয়েছে। পৃথিবীকে বাঁচাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করতেই হবে। বিএনপির ৩১ দফায় স্পষ্ট করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার লুণ্ঠনের উদ্দেশ্যে জ্বালানি খাতে দায়মুক্তির আইন করেছে দাবি করে ওই আইন বিলোপের দাবি জানান রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, সব খাতেই সমস্যা আছে। রাজনৈতিক নেতা যদি অসৎ হয়, অস্বাভাবিক উপায়ে নেতা হন, সবকিছু তাঁরা অস্বাভাবিক উপায়ে করেন।
যুব সংসদের শেষ অধিবেশনে দুই দিনের সংসদের সারাংশ তুলে ধরা হয়।এতে বলা হয়, এতে ১০০ ‘সংসদ সদস্য’–এর অংশগ্রহণে ১৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপনা ছিল দুই দিনের যুব সংসদে। এক হাজার নিবন্ধিত শিক্ষার্থী নিয়ে গত এক বছরে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্যদের বাছাই করা হয়।
দুই দিনের যুব সংসদে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোট আটটি অধিবেশনে জ্বালানি খাতের আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর বেশ কিছু নিবন্ধ তুলে ধরা হয়। এতে বিদ্যুৎ খাতের ক্যাপাসিটি চার্জ বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার সমালোচনা করা হয়। জ্বালানি রূপান্তরে ক্যাবের ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানান অংশগ্রহণকারীরা।
শেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা হলে জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত হবে।পরবর্তী যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এ আন্দোলনের দাবি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।