‘ডিপ্রেশন প্যাটার্ন’ থেকে কেন বের হতে পারছেন না?
Published: 12th, April 2025 GMT
ডিপ্রেশনে ভোগার ফলে অনেকে অ্যান্টি ডিপ্রেসিভ মেডিসিন গ্রহণ করা শুরু করেন। কিন্তু ডিপ্রেশন বা হতাশার মূল কারণ না জেনে ওষুধ সেবনের ফলে আরও অনেক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
ডা. মেসবাহ উদ্দীন একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অসংখ্য মানুষের ডিপ্রেশনের যে প্যাটার্ন সেটি থেকে বের হয়ে না আসার অন্যতম কারণ হলো, তারা তাদের ডিপ্রেশনের অথবা অ্যাংজাইটির মূল কারণকে চিহ্নিত করে না। দেখুন আপনি যদি আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কনফ্লিক্টের মধ্যে দিয়ে যেয়ে থাকেন, হতে পারে লাইফে নার্সিস্টিক পারসোনালিটি ডিস-অর্ডারের সঙ্গী পেয়েছেন। যে প্রতিনিয়ত আপনাকে কন্ট্রোল করার, দমন করার, অ্যাবিউস করার চেষ্টা করে বা করে যাচ্ছে। ফলে তার সঙ্গে কনফ্লিক্টেড লাইফের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে আপনি বার বার মানসিক চাপের স্বীকার হচ্ছেন। অর্থাৎ এই কলফ্লিক্টের কারণে আপনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই মানসিক চাপের কারণে আপনি অ্যাংজাইটি কিংবা ডিপ্রেশনে ভুগছেন। ’’
ডা.
‘‘আপনি দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছেন, হতে পারে ইনফেকশন, ইনফ্লামেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন যার ফলে যে হরমোনটি আপনার মেন্টাল স্টেজকে ঠিক রাখে সেটির উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যার ফলে আপনি হয়তো হতাশায় ভুগছেন।’’—যোগ করেন ডা. মেজবাহ
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ডিপ্রেশন প্যাটার্নে ভুগলে আপনার উচিত একজন মনোবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা। কেননা ডিপ্রেশনের প্যাটার্ন বের করে সেটা মোকাবিলা করার জন্য লাইফ স্টাইল সেট করে নেওয়া জরুরি।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনফ ল ক ট আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।