কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স আজ খোলা হয়েছে। এতে ২৮ বস্তা টাকাসহ ও অন্যান্য দানের সঙ্গে পাওয়া গেছে বেশ কিছু চিঠি।

প্রতিবারই এরকম পাওয়া যায়। চিঠিতে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মনোবাঞ্ছার কথা লেখা চিঠি বা চিরকুট পাওয়া যায় প্রতিবারই। কেউ মানুষের কাছে দোয়া চান সেসব চিঠিতে। এবারও একটি চিরকুটে এক ভাই তাঁর ছোট ভাইয়ের সুস্থতার জন্য মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছে।

চিঠিতে তিনি তার শিক্ষাগত সামর্থ্য অনুযায়ী যা লেখেন- ‘আসসালামু আলাইকুম, আমার সালাম নিবেন, আমার একটি মাত্র ভাই, বয়স মাত্র ১৪ বছর। সে কানেও শোনে না, কথাও বলতে পারে না, সবই ওপর ওয়ালার ইচ্ছা। খুবই কষ্টের মাঝে আছি। সবাই আমার ভাইটার জন্য দোয়া করবেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যদি আপনাদের উসিলায় আমার ভাই ভালো হয়ে যায়, তাহলে আমার ভাইয়ের হাতে নিয়ে একটা খাসি বাবার পাগলা মসজিদে দিয়ে আসবে। তাই সকলের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছি, সবাই আমার ভাইটার জন্য দোয়া করবেন। নাম তার শুভ, বাসা ঈশ্বরগঞ্জ, থানা আঠারোবাড়ি, গ্রাম তেলুয়ারি, জেলা ময়মনসিংহ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ভ ই

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।

গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ