ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক অব্যাহতিতে প্রযুক্তিপণ্যে বড় ছাড়
Published: 13th, April 2025 GMT
স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এসব পণ্য মূলত চীন থেকে আমদানি করা হয়। প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি বড় সুখবর হিসেবেই ধরা হচ্ছে। অ্যাপল ও ডেল টেকনোলজিসসহ অন্যান্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানির জন্য স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে শুল্ক অব্যাহতির এই ঘোষণা।
যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ৯০ দিনের এই শুল্ক অব্যাহতি কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ২০টি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিস্ক ড্রাইভ, ডেটা প্রসেসিং যন্ত্র, সেমিকন্ডাক্টর, যন্ত্রপাতি, মেমোরি চিপ, ফ্ল্যাট–প্যানেল ডিসপ্লেসহ (৮৪৭১ কোডের আওতাভুক্ত) অন্যান্য পণ্য আছে।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম ১০ শতাংশের শুল্কও দিতে হবে না। ফলে ভারতের কারখানায় তৈরি আইফোন ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে খরচ কমবে।
গতকাল শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে পাল্টা শুল্ক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সোমবার এ–বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দেব। সেদিন আমরা সুনির্দিষ্টভাবে বলব। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন অনেক অর্থ আয় করছে।’
বিষয়টি হলো, চীনের যেসব প্রযুক্তিপণ্যে শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেটা মূলত পাল্টা শুল্ক; আগের যে শুল্ক ছিল, তা অব্যাহত থাকবে। ফেন্টানিল নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, তা অব্যাহত থাকবে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস বলেন, প্রযুক্তি খাতের জন্য চলতি সপ্তাহে এটি সবচেয়ে ইতিবাচক খবর। পাল্টা শুল্ক নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনার ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত; এ নিয়ে একধরনের অস্থিরতাও আছে। তবে অ্যাপল, এনভিডিয়া, মাইক্রোসফটসহ গোটা প্রযুক্তি খাতে এখন অনেকটাই স্বস্তির হাওয়া বইছে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হয়ে উঠেছেন। ট্রাম্পের অভিষেক উপলক্ষে অ্যাপলের সিইও টিম কুক একটি প্রাক্-অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে গিয়েও তাঁকে শুভেচ্ছা জানান টিম কুক।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প শিগগিরই সেমিকন্ডাক্টর খাত নিয়ে একটি জাতীয় পর্যায়ের নিরাপত্তা তদন্ত শুরু করবেন। ফলে আবারও নতুন করে পাল্টা শুল্কের ঘোষণা আসতে পারে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিপণ্য যেমন চিপ, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নির্ভর করতে পারে না, ট্রাম্প এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
ক্যারোলাইন লেভিট আরও জানান, ট্রাম্পের নির্দেশে অ্যাপল, এনভিডিয়া ও তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে।
পাল্টা শুল্কের চাপ
ট্রাম্প প্রশাসন বুঝতে পারছে, এই শুল্ক ভোক্তা পর্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের প্রযুক্তিপণ্য বা স্মার্টফোনে ৫৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক থাকলেও আইফোনের দাম ১ হাজার ৫৯৯ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৩০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক থাকবে দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে স্মার্টফোন; মোট ৪ হাজার ১৭০ কোটি ডলারের স্মার্টফোন আমদানি করেছে তারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি করা পণ্য ছিল ল্যাপটপ, যার অর্থমূল্য ৩ হাজার ৩১০ কোটি ডলার।
গত শুক্রবার ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল ভারত থেকে ৬০০ টন বা প্রায় ১৫ লাখ আইফোন বিমানে পরিবহন করে যুক্তরাষ্ট্রে এনেছে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল মূল্যস্ফীতি কমানো। একই সঙ্গে তিনি নতুন শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেছেন, এই শুল্কের কারণে বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা বিরক্তিকর হলেও বিশ্ববাণিজ্যের পুনর্বিন্যাসে এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
তবে এই পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা তৈরি করেছে। ফলে রিপাবলিকান নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান নেতারা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক আগামী কংগ্রেস নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৫৭টি দেশের জন্য পাল্টা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা করছে।
ফ্লোরিডায় নিজের বাসভবনে ছুটি কাটাচ্ছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক নিয়ে চাপ দেখছেন না তিনি। পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চি পিংয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। এই বাণিজ্য সংঘাত থেকে ইতিবাচক কিছু বের করা যাবে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তবে শুক্রবার আবারও আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের বিপরীতে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার সপ্তাহের শেষে ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে খ্যাত সোনার দাম নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের সুদ হার ২০০১ সালের পর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে; কমেছে ডলারের মান। এতে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন অর্থনীতির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য পল র জন য আমদ ন র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের
বিশ্বের সবচেয়ে জটিল কিছু সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। একই সঙ্গে তিনি ‘স্বৈরাচারের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন’ দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। খবর বিবিসির।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের প্রথম দিনে উইন্ডসর ক্যাসলে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন রাজা।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, এ সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ শব্দ দিয়ে যথাযথভাবে বোঝানো যায় না।
উইন্ডসর ক্যাসলে ১৬০ জন অতিথির জন্য আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ এই নৈশভোজে রাজার বক্তৃতায় দুই দেশের গভীর বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় এ সফর চলবে আজ বৃহস্পতিবারও। এদিন নানা অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে অংশ নেবেন ব্রিটিশ রানি ক্যামিলা ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস।
রাজকীয় অ্যাপায়ন শেষে ট্রাম্পের আজকের কর্মসূচি রাজনৈতিক আলোচনায় রূপ নেবে। আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সরকারি বাড়ি চেকার্সে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনও হবে।
বুধবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় ভোজ ছিল আড়ম্বর ও রাজনীতির সমন্বয়ে সাজানো এক বিশেষ আয়োজন। ভোজে রাজা, রানি ও রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো হয় উইন্ডসরে।
উইন্ডসর ক্যাসলের মনোরম প্রাঙ্গণে পৌঁছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মেলানিয়া রাজকীয় ঘোড়ার গাড়ি থেকে নামেন। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো সেনাদলের অভিবাদন গ্রহণ করেন তারা।
যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।
যুক্তরাষ্ট্রের অতিথিকে স্বাগত জানাতে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলসও উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রেসিডেন্ট ও মেলানিয়ার সঙ্গে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকও করেন।
ভোজসভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রিন্স উইলিয়ামের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তিনি হবেন ‘অসাধারণ সফল নেতা’। প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিনকে তিনি আখ্যা দেন ‘উজ্জ্বল, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সুন্দরী’ হিসেবে।
ট্রাম্পের ঐতিহাসিক এ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর প্রমাণ করেছে রাজা ও তাঁর মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালো। সফরে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মুহূর্তও দেখা গেছে।
এরপর রাজপ্রাসাদে ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানান রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা। ট্রাম্প যখন রাজার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ছয়টি কামান থেকে একযোগে ৪১ বার তোপধ্বনি করা হয়। একই সময়ে টাওয়ার অব লন্ডন থেকে একই রকম তোপধ্বনি হয়।
ট্রাম্প দম্পতিকে স্বাগত জানানোর এ আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর ১ হাজার ৩০০ সদস্য। ছিল শতাধিক ঘোড়া।
যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানানোর জন্য দেশটিতে আয়োজিত স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সামরিক সংবর্ধনা ছিল এটি।
বিবিসি বলছে, রাজকীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা থাকবে।
যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফর হলো একধরনের নরম শক্তির কূটনীতি, যা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য রাজকীয় আকর্ষণ ব্যবহার করে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কেউ নেই।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্থিক সেবা, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যকে আমেরিকান বিনিয়োগের প্রধান গন্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে চাইছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর শুরু হওয়ার সাথে সাথে, মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের একটি বড় প্রযুক্তি চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছে। যার মধ্যে মাইক্রোসফট থেকে ২২ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং পারমাণবিক শক্তিতে সহযোগিতা দেখা যাবে।
ট্রাম্পের সফরের আগে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট যুক্তরাজ্যের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-স্টারমারের বৈঠক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তির ঘোষণাও আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঢাকা/ফিরোজ