মাসিকের সময় মেয়েদের তলপেট ও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হয়। ব্যথা নামতে পারে পায়ের দিকেও। কারও কারও ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি হয় যে তিনি রোজকার স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন। এমন তীব্র ব্যথা অবশ্য তুলনামূলক কম বয়সেই হয়ে থাকে। পেট বা পিঠের ব্যথা ছাড়া মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব কিংবা পাতলা পায়খানাও হতে পারে কারও কারও। কেউ আবার হরমোনের প্রভাবে অল্পেই বিরক্ত হয়ে ওঠেন এই সময়।
মাসিক চলাকালীন ব্যথাবেদনা সামলেই জীবনের পথে এগিয়ে চলেন নারীরা। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এমন ব্যথার সঙ্গে লড়াই করাটা সহজ হয়—

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। কৈশোরে এমন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকা ভালো, যাতে শারীরিক শ্রম হয়। মাসিকের সময়ও খেলাধুলা বা শরীরচর্চা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, যদি না অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম করা হয়।

খাদ্যাভ্যাসটাও স্বাস্থ্যকর হওয়া আবশ্যক। উদ্ভিজ্জ খাদ্য গ্রহণের প্রতি জোর দিন।

মাসিকের সময় পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ করুন। মাসের অন্যান্য দিনের চেয়ে এই কয়েকটা দিন একটু বেশি তরল গ্রহণ করা উচিত। সবজির স্যুপ বা ডাল খেতে পারেন। কিংবা খেতে পারেন ফলের রস। রোজ দুধ খাবেন অবশ্যই; কিংবা দুধের তৈরি যেকোনো খাবার। চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

মাসিকের সময় পিঠের নিচের অংশে হালকা মালিশ করলে উপকার মেলে।

ব্যথা হলে তলপেটে হালকা গরম সেঁক দিন।

নেশাজাতীয় যেকোনো দ্রব্য পরিহার করুন।

প্রয়োজনে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। কখনো কখনো ন্যাপ্রক্সেন বা আইবুপ্রোফেন জাতীয় শক্তিশালী ব্যথানাশক ওষুধেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে এ ধরনের ওষুধ সেবন করলে নিয়মমাফিক গ্যাসের ওষুধও চাই। আর এসব শক্তিশালী ব্যথানাশক কখনো খালি পেটে সেবন করতে নেই।

আরও পড়ুনবয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ০৭ আগস্ট ২০২৪

মাসিকের সময়কার ব্যথার জন্য কখন যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে, তা–ও জেনে নিন।
ব্যথার তীব্রতা খুব বেশি হলে কিংবা খুব বেশি দিন ব্যথায় কষ্ট পেলে তো নিশ্চয়ই যাবেন চিকিৎসকের কাছে। তবে এর বাইরেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অনিয়মিত মাসিক বা জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মাসিকের সময় উঠে দাঁড়াতে গেলেই যদি মাথা ঘুরে ওঠে, সে ক্ষেত্রেও দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
সূত্র: ওয়েবএমডি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম স ক র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

হজমের সমস্যা হলে বুঝবেন কীভাবে?

শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হলে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকেই সেসব লক্ষণকে পাত্তা দেন না। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা বড় আকার নেয়। তাই যেকোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ জেনে রাখা জরুরি। শরীরে হজমজনিত সমস্যা হওয়া মানে অন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়া। তাই জটিল রোগ হওয়ার আগেই কিছু লক্ষণ জেনে রাখা দরকার। যেমন-
বদহজমের সমস্যা থাকলে সারাক্ষণই পেটে একটা চিনচিনে ব্যথা, অস্বস্তি হতে পারে। কিছু খেলেই মনে হবে পেটে ব্যথা হচ্ছে। এক্ষুনি বাথরুমে দৌড়াতে হবে। বদহজমের সমস্যা মানেই হচ্ছে খাবার সঠিক ভাবে হজম না হওয়া। এর ফলে অস্বস্তিকর ঢেকুর উঠতে পারে। তাই সারাক্ষণ ঢেকুর উঠতে থাকলে সাবধান হওয়া জরুরি।
 
যারা অনেকদিন ধরে বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন পানি খেলেও তাদের মনে হয় অ্যাসিডিটি হচ্ছে। এমন হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। 

সামান্য কিছু খেলেও অনেকেরই ঢেকুর উঠতে থাকে। এর অন্যতম কারণ বদহজমের সমস্যা। এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

খাবার দেখলে অনীহা, খিদে না থাকা, গা-গোলানো এবং বমিভাবে এগুলি বদহজমের কারণেই দেখা যায়। এইসব উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। 

বদহজমের সমস্যা থাকলে গ্যাসেরও সমস্যা হয়। সারাক্ষণ গলায় এক ধরনের চাপ অনুভূত হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। 

বদহজমের সমস্যা থাকলে সারাক্ষণ মনে হবে পেট যেন ফুলে ফেঁপে রয়েছে। সামান্য কিছু খেলেই অস্বস্তি হবে। এইসব উপসর্গ অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।  

দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকা বদহজমের সমস্যা অবহেলা করলে পরবর্তীতা পেটের বড় রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ কারণে যাদের প্রচণ্ড অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের সমস্যা আছে তারা ভাজাভুজি, তেলমসলা, ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন। সহজপাচ্য খাবার খান। প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হজমের সমস্যা হলে বুঝবেন কীভাবে?
  • এই সময় হঠাৎ মুখ বেঁকে যায় কেন? কিছু পরামর্শ
  • এই সময় অনেকের মুখ বেঁকে যায় কেন? কিছু পরামর্শ