দিনাজপুরে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদকের অভিযান
Published: 13th, April 2025 GMT
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে সড়কে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সড়ক পরিদর্শন করেন দিনাজপুর দুদকের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক পরিদর্শন করে সড়কে মাপজোখ করেন।
এ সময় দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক আতাউর রহমান সরকার, সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক খাইরুল বাশার, সহকারী পরিদর্শক শাহাজান আলী উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আমানুল্লাহ আমান।
দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক আতাউর সরকার জানান, দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়কটি নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক দিনাজপুর দুদক জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
সাবেক ওসি মাজহারের স্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ
আবেদ আলীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট-বাড়িসহ জমি জব্দ
তিনি বলেন, ‘‘ইতোমধ্যে দিনাজপুর থেকে বিরামপুর পর্যন্ত এসেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেখেছি ফুলবাড়ী থেকে বিরামপুর পর্যন্ত।’’
তিনি আরো জানান, তারা গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যাবেন এবং তদন্ত করে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করে কমিশনে পাঠাবেন।
ঢাকা/মোসলেম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ব ন দগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।