প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের সুপারিশে একমত জামায়াতে ইসলামী। প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে এনসিসির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের সুপারিশের পক্ষেও মত দিয়েছে দলটি। তবে তারা প্রস্তাবিত এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতিকে চান না। দলটি চায় কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না; তবে সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছরই থাকুক। 

ঐকমত্য কমিশনে জামায়াত এসব মতামত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো এবং নির্বাচন পদ্ধতিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের অবস্থান বিএনপির বিপরীত। 
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সমকালকে বলেন, জামায়াত তার অবস্থান জানিয়েছে। অন্য দল কী চায়, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের ৭০, দুদক সংস্কার কমিশনের ২০, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২৬, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ২৩ এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ২৭ সুপারিশে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ঐকমত্য কমিশন।
মোট ১৬৬ সুপারিশের ৭৭টিতে জামায়াত একমত। আংশিক একমত ৩৬ সুপারিশে। একমত নয় বলে জানিয়েছে ৫৩ সুপারিশে। সংবিধান সংস্কারে ৩১ সুপারিশে একমত, ১৬ সুপারিশে আংশিক একমত এবং ২৩ সুপারিশে একমত নয় বলে জানিয়েছে তারা। 

সংস্কারের সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে– তা জানতে চেয়ে ছয়টি বিকল্প দিয়েছিল কমিশন। এগুলো হলো– অধ্যাদেশ, গণভোট, নির্বাচনের সময় গণভোট, গণপরিষদ, নির্বাচনের পর সংসদে সংস্কার এবং গণপরিষদ হিসেবে সংসদ নির্বাচন। বিএনপি গণপরিষদ, গণভোটের সুপারিশ নাকচ করেছে। জামায়াত এ বিষয়ে মতামত জানায়নি। তাহলে কীভাবে কী সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন হবে– জানতে চাইলে মিয়া গোলাম পরওয়ার সমকালকে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এটা কমিশন ও সরকার ঠিক করুক।   
বিএনপি মতামত দিয়েছে, কোনো ব্যক্তি টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। দুই দলই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে রাজি হলেও, বিএনপি 

চায় নিম্নকক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই হবে। উচ্চকক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নয়, গঠিত হবে নিম্নকক্ষের প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে। জামায়াত উভয় কক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন চায়। নিম্নকক্ষ যদি আনুপাতিক পদ্ধতিতে গঠিত হয়, তাহলে উচ্চকক্ষের কী প্রয়োজন– এ প্রশ্নের জবাবে গোলাম পরওয়ার বলেন, পেশিশক্তিসহ নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনই শ্রেয়। 

প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন বলে যে সুপারিশ কমিশন করেছে বিএনপি তাতে একমত না হলেও, জামায়াত রাজি। বিএনপি এনসিসি গঠনের বিরোধী। তবে দুই দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সর্বশেষ প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে রাজি, মেয়াদ নয়
সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে, কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। জামায়াত এর সঙ্গে একমত। তবে সংসদ এবং প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ ৪ বছর নয়, ৫ বছরই বহাল রাখার পক্ষে দলটি। কমিশন প্রস্তাব করেছিল, প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে সংসদ নেতা এবং দলীয়প্রধান হতে পারবেন না। জামায়াত এতে একমত হয়নি। দলটি মত দিয়েছে, একই ব্যক্তি সংসদ নেতা ও দলীয়প্রধান হতে পারবেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী দলীয়প্রধান হতে পারবেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তিনি সংসদ নেতা হতে পারবেন না।
কমিশন ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশ করেছে, যাতে সংসদ সদস্যরা নিজের ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারেন। জামায়াত আংশিক একমত জানিয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ শিথিলের পক্ষে মত দিয়েছে। দলটি চায়, দলীয় এমপি অর্থবিল এবং আস্থা প্রস্তাব বাদে অন্যান্য বিষয়ে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন। 

বিদ্যমান সংবিধানে ৪৮(৩), ৫৬(২) অনুচ্ছেদ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী সর্বময় ক্ষমতা ভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ বাদে বাকি সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী সম্পাদন করতে রাষ্ট্রপতি বাধ্য। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে কমিশন এনসিসি গঠনের প্রস্তাব করেছে। প্রস্তাবিত এই কাউন্সিল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদের দুই কক্ষের স্পিকার, বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত দুই ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সরকারি ও প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য দলগুলো থেকে একজন নির্বাচিত সদস্যকে নিয়ে গঠিত হবে।
কমিশন সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন, কর্মকমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ হবে এনসিসির মাধ্যমে। ৯ সদস্যের এনসিসির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে নিয়োগ হবে। জামায়াত এতে একমত হলেও, বলেছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি এনসিসির সদস্য হতে পারবেন না। 
দলের এ অবস্থান সম্পর্কে গোলাম পরওয়ার সমকালকে বলেন, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক পছন্দে নিয়োগ হয়। তাই তাঁকে এনসিসিতে না রাখাই উত্তম। বিচারাঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে প্রধান বিচারপতিকেও এনসিসিতে রাখা ঠিক হবে না। 

এনসিসি গঠনের বিরোধী বিএনপি বলছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর হাতে না থাকলে সরকারপ্রধানের ক্ষমতাই থাকবে না। জামায়াত এর বিরুদ্ধে। দলটির মত, প্রধানমন্ত্রী শুধু নির্বাহী বিভাগে ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। 
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সুপারিশ করেছে, কেউ দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। বিএনপি এতে একমত না হলেও, জামায়াত রাজি।

উভয় কক্ষেই আনুপাতিক পদ্ধতি চায়
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ইচ্ছামাফিক সংবিধান বদলে দেওয়ার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করেছে। জামায়াত দ্বিকক্ষের সংসদ চাইলেও, কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ৪ নয়, ৫ বছর মেয়াদ চায়।  

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নিম্নকক্ষ হবে ৪০০ সদস্যের। ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনে শুধু নারীরা নির্বাচিত হবেন। এতে রাজি নয় জামায়াত। দলটির মত, নিম্নকক্ষে ৩০০ আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, তত শতাংশ আসন পাবে। ৫০টি নারী আসন দলগুলোর মধ্যে এমপির সংখ্যা অনুযায়ী বণ্টন হবে। 
তবে মোট আসনের ১০ শতাংশ তরুণদের জন্য সংরক্ষণে আংশিক একমত জানিয়েছে জামায়াত। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বয়স কমিয়ে ২১ নির্ধারণেও একমত তারা।  উভয় কক্ষে একমাত্র ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নির্বাচন চায় জামায়াত। কমিশন প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের ১০০ আসন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুপারিশ করেছে। জামায়াত এতে একমত। তবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের বিরোধিতা করেছে তারা।
কাটাছেঁড়া রোধে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় অনুমোদন এবং গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করেছে কমিশন। বিএনপি গণভোটের সুপারিশে দ্বিমত জানালেও জামায়াত রাজি। 

সংসদের নিম্নকক্ষ আনুপাতিক নির্বাচনে গঠিত হলে সরকার এককভাবে গঠনে কোনো দলকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। বাংলাদেশে স্বচ্ছ হিসেবে স্বীকৃত কোনো নির্বাচনে রাজনৈতিক দল এককভাবে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়নি। ফলে স্থায়ী সরকার পাওয়া কঠিন হেব। রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় বিএনপি এতে রাজি নয়। 
স্থায়ী সরকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইচ্ছামাফিক সংবিধান বদল বন্ধে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব করেছে কমিশন। সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনো দলকে নির্বাচনে ৬৬ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে, যা প্রায় অসম্ভব। এর পরও জামায়াত কেন নিম্নকক্ষে আনুপাতিক নির্বাচন চায় এ প্রশ্নে দলটির একজন নেতা সমকালকে বলেছেন, উচ্চকক্ষে আনুপাতিক নির্বাচন নিশ্চিত করতেই জামায়াত কৌশলের অংশ হিসেবে উভয়কক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতি চাইছে। যাতে অন্তত উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতি নিশ্চিত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় জামায়াত
কমিশন সুপারিশ করেছে, সংসদ ভেঙে গেলেও এনসিসি থাকবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত দুই উপদেষ্টা সদস্য হবেন। জামায়াত এতে একমত নয়। দলটি মত দিয়েছে, সংসদ ভেঙে গেলে এনসিসিও বিলুপ্ত হবে।

কমিশন প্রস্তাব করেছে, ৯ সদস্যের এনসিসির ৭ জনের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করবেন। এমন কাউকে পাওয়া না গেলে এনসিসির ছয় সদস্যের সমর্থনে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের মধ্যে একজন প্রধান উপদেষ্টা হবেন। এটও সম্ভব না হলে এনসিসির সর্বসম্মতিতে রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন। তবে জামায়াত এতে একমত নয়। দলটি চায় আগের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি হবেন প্রধান উপদেষ্টা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে চার মাস। কোনো কারণে নির্বাচন সম্ভব না হলে মেয়াদ দুই মাস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবে বিএনপি চেয়েছে, কোনোভাবেই নির্বাচনকালীন সরকারের মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি হবে না।
 
আরও নানা বিষয়ে মতামত
কমিশন প্রস্তাব করেছে সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং প্রস্তাবিত জেলা সমন্বয় পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন সমন্বয় পরিষদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। জামায়াত এতে একমত নয়। দলটি চায় এমপিদের ভোটেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। দলটি সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চেয়েছে।  
জামায়াত জানিয়েছে, তারা দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন বাংলা বাদে অন্য ভাষাকে স্বীকৃতির সুপারিশে রাজি নয়। বিদ্যমান সংবিধানে ৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সংবিধান বাতিল বা পরিবর্তনের চেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে গণ্য হবে। কমিশন এই অনুচ্ছেদ বাতিলের সুপারিশ করেছে। জামায়াত এতে আংশিক একমত। তারা জানিয়েছে, অভ্যুত্থান, গণবিপ্লব বাদে অন্য কোনো উপায়ে সংবিধান বাতিল, পরিবর্তনের চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। 

সংস্কার কমিশন সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্রকে সংবিধানের মূলনীতি করার প্রস্তাব করেছে। জামায়াত এতে আংশিক একমত হয়েছে। তারা বহুত্ববাদ নয়, ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’কে মূলনীতি হিসেবে পুনর্বহালে মত দিয়েছে। 
জামায়াত রাজনৈতিক দলের তথ্য উন্মুক্ত করার পক্ষে নয়। নিবন্ধন পদ্ধতিও বাতিল চেয়েছে দলটি। প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রচলনের বিরোধিতা করেছে জামায়াত। জেলা পরিষদ বাতিলের সুপারিশেও একমত নয় তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারের ২০ সুপারিশের ১১টিতে একমত জামায়াত। ৫টিতে আংশিক একমত, অন্য চারটিতে একমত নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭ প্রস্তাবের ১৩টিতে তারা একমত। ১০টিতে একমত নয়। বিচার বিভাগ সংস্কারের ২৩ সুপারিশের ১৫টিতে তারা একমত। একটিতে একমত নয়। জনপ্রশাসন সংস্কারের ২৬ সুপারিশের ১৫টিতে জামায়াত একমত নয়। একমত হয়েছে সাতটিতে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র স প র শ কর ছ গ ল ম পরওয় র আ শ ক একমত প রস ত ব ত জ ম য় ত এত র ষ ট রপত ন ম নকক ষ অন চ ছ দ মত দ য় ছ প রব ন ন ব যবস থ সরক র র সদস য র গণভ ট র এনস স র একমত ন একমত জ মত জ ন অন য য় গঠন র ব এনপ দলগ ল মত মত

এছাড়াও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট, একমত ইউনূস ও তারেক

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনীতিতে টানাপোড়েন যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছিল, লন্ডন বৈঠকে তা অনেকটা কেটেছে।

গতকাল শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে লন্ডন বৈঠক নিয়ে দেশে যে কৌতূহল ও উৎকণ্ঠা ছিল, সেটার সমাপ্তি ঘটেছে।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। এর মধ্যেই ৬ জুন ঈদুল আজহার আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সরকারপ্রধানের এই ঘোষণা বিএনপি মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে দলটির নেতারা প্রকাশ্যেই অসন্তুষ্টির কথা জানান। অবশ্য সরকার–ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের জন্য উপদেষ্টাদের কেউ কেউ জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে অধ্যাপক ইউনূসকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এপ্রিলকে উপযুক্ত মনে করেছিলেন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের এক সপ্তাহের মাথায় লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে নতুন ঘোষণা এল। ধারণা করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে।

নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ঘটনাকে বিবৃতি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট। দলগুলো বলেছে, এর মাধ্যমে জাতি ‘স্বস্তির বার্তা’ পেয়েছে।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে অনেকের দুর্ভাবনা ছিল। সেটা কেটে গেছে, গোটা জাতি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। অধ্যাপক ইউনূস দুঃসময়ে জাতির অভিভাবক হিসেবে নিজের বিশালত্ব, গভীরতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপি নেতা তারেক রহমানও যথোচিত সৌজন্যবোধ, পরিণত বুদ্ধি ও রাষ্ট্রনায়কসুলভ সম্ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি বলেন, বিচার বা সংস্কার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বড় ধরনের মতপার্থক্য নেই। মতপার্থক্য ছিল নির্বাচনের সময় নিয়ে। দুজনের (ইউনূস-তারেক) বৈঠকের পর এই মতপার্থক্যও অনেকটা কমে এসেছে।

যদিও লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে যে প্রক্রিয়ায় সমঝোতা হয়েছে এবং সেটি যেভাবে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দল। দলগুলোর নেতারা বলছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ব্যাপারে তাঁদের ভিন্নমত নেই। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের সমঝোতায়ও তাঁরা অসন্তুষ্ট নন। তাঁদের প্রশ্ন এক জায়গায়। সেটি হচ্ছে, সরকার এভাবে একটি দলের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দিতে পারে কি না? এটা কতটা নৈতিক।

লন্ডন বৈঠকের বিষয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত। এনসিপি মনে করে, নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন দলীয় ফোরামে আলোচনা করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

গতকাল যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে সেখানকার সময় সকাল নয়টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা বলেন। এর মধ্যে বড় একটি সময় অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমান একান্তে বৈঠক করেন। পরে ওই হোটেলেই যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। একান্ত আলোচনায় দুই নেতা ‘সন্তুষ্ট’ হয়েছেন বলে তাঁরা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি (সরকার ও বিএনপি) পড়ে শোনান নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তাতে বলা হয়, অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। ‌দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এ অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রশ্নোত্তরে যা বললেন সরকার ও বিএনপির প্রতিনিধি

পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সাংবাদিক জানতে চান, তাহলে কি সরকার এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা থেকে সরে আসছে? জবাবে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘যৌথ ঘোষণায় এই বিষয়টি সুস্পষ্টই বলা আছে। আপনারা শুনেছেন। যদি সব কাজ সময়মতো আমরা করতে পারি এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেটা করা যেতে পারে।’

তাহলে নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণে সমস্যাটা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা কোনো সমস্যা দেখছি না। নির্বাচন সম্পর্কে আজকে যৌথ বিবৃতিতে আমরা বলে দিয়েছি দুই পক্ষই। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন শিগগিরই একটা তারিখ ঘোষণা করবে।’

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ছাড়া লন্ডন বৈঠকে আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এ ছাড়া সংস্কার, বিচার, জুলাই ঘোষণা নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে যৌথ বিবৃতিতে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।

তবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব বিষয়ে আলোচনা তো হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা তো নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমরা সবাই চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করব। বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐকমত্যে এসেছি, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও সেটা আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে জুলাই সনদ নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে তো ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে দেশে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত আছে যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। সংস্কারের ব্যাপারেও একই উত্তর আমাকে দিতে হয় যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সংস্কার ও জুলাই সনদ—দুটোই করব। সবার ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আমি নিশ্চিত, খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখানে আলোচনার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’ এ প্রশ্নে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ‘এটা তাদের (এনসিপি) জিজ্ঞেস করুন। প্রতিটি দলের নিজস্ব মতামত আছে। তবে আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনার হত্যাযজ্ঞের বিচারপ্রক্রিয়া তিনি শেষ করতে চান এবং পরে তাঁকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, সেটা হয়ে থাকলে নির্বাচনের রূপরেখায় এর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, ‘যৌথ বিবৃতিতে এর উত্তর দেওয়া আছে। সংস্কার এবং বিচার; দুই বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতির কথা বলা হয়েছে এবং আমরা মোটামুটি কনফিডেন্ট (আত্মবিশ্বাসী) যে এই অগ্রগতি আমরা নির্বাচনের আগেই দেখতে পাব।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না বা তিনি কবে দেশে ফিরতে পারেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান সাহেব যখনই ইচ্ছা দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, সময়মতো।’

সংবাদ সম্মেলনে শেষ প্রশ্ন ছিল, ‘বৈঠকে আলোচনায় আপনারা কি সন্তুষ্ট?’ সমস্বরে এ প্রশ্নের জবাব দেন খলিলুর রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ। দুজনই বলেন, ‘নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট।’ এর সঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা তো বলছি নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ এরপর খলিলুর রহমান বলেন, ‘সন্তুষ্ট না হলে তো যৌথ ঘোষণা আসার কথা নয়।’

‘চারদিকে যে অনিশ্চয়তা ছিল, সেটা কেটেছে’

অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর ঢাকায় বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, বৈঠক সফল হয়েছে। সবকিছু যে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল, সেই অবস্থাকে কাটিয়ে জাতিকে আবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন দুই নেতা।

মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনের বৈঠকের পর তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। এ সময় তারেক রহমান দলের নেতা–কর্মীদের অভিনন্দন ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য তাঁর মা ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিএনপির মহাসচিব দলের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে তিনি (ইউনূস) তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সবকিছু একটা অনিশ্চিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল, সেই অবস্থা কাটিয়ে জাতিকে আবার সামনের দিকে ও আশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন দুই নেতা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট, একমত ইউনূস ও তারেক