সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে জয় কুমার ঘোষ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জয় কুমার ঘোষ তাড়াশ উপজেলা সদরের গোবিন্দ মন্দির এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি মন্দিরের পুরোহিত।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন, গত রোববার (১৩ এপ্রিল) রাতে চৈত্রসংক্রান্তি পূজায় তাড়াশ মহাশ্মশানে মন্ত্রপাঠ করার সময় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.

)–এর নামে কটূক্তি করে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত করেন জয় কুমার ঘোষ। এ বিষয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদে তাঁরা মিছিল-সমাবেশ করেন। রাজনৈতিক দল, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আবদুল বারী নামে স্থানীয় একজন মুসল্লি বাদী হয়ে এ ঘটনায় মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার পুরোহিত জয় কুমার ঘোষকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার বিকেলে এ বিষয়ে সব শ্রেণি–পেশার স্থানীয় নেতা ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ রয়েছে। সবার সহযোগিতায় উপজেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জয় ক ম র ঘ ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের