গাইবান্ধায় নকলের অভিযোগে ১১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার
Published: 15th, April 2025 GMT
গাইবান্ধায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার চারটি কেন্দ্রে নকল ও মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখার অপরাধে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসময় তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করার দায়ে এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তিনজন, বোনারপাড়া এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র একজনকে বহিষ্কার করাসহ তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসাকেন্দ্র থেকে পাঁচজন, কামদিয়া দারুল উলুম সিদ্দিকীয়া আলীম মাদ্রসার কেন্দ্র থেকে এক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, পরীক্ষা চলাকালে সাঘাটা পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন থাকায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। এসময় তিনটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, “পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অপরাধে মাদ্রাসার দুটি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কক্ষ পরিদর্শনের সময় ছয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। এছাড়া নকলে সহযোগিতা করায় এক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্মার্টফোন নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করায় ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানান কেন্দ্র সচিব মো.
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল মামুন (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।”
ঢাকা/মাসুম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক শ ক ষ পর ক ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস