Samakal:
2025-05-01@02:40:29 GMT

দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার

Published: 15th, April 2025 GMT

দরপতনের ধারায় শেয়ারবাজার

ঊর্ধ্বমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হলেও মঙ্গলবারও ফের বড় দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। প্রায় ৬৪ শতাংশ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড দর হারিয়েছে। অন্যদিকে ২৪ শতাংশের দর বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ৩৭ পয়েন্ট। সূচকের এ পতন গত ১২ জানুয়ারির পর বা চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত রোববারও ৩৫ পয়েন্টের বেশি হারায় এ সূচক। দুই দিনে কমেছে ৭৩ পয়েন্ট।
প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৭টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টি দর হারিয়েছে, বেড়েছে ৮৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টির দর। অন্যদিকে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬টির কেনাবেচা হয়েছে। যার মধ্যে ২৪টির দর কমেছে এবং বেড়েছে সাতটির। আইডিএলসি সিকিউরিটিজের এমডি মো.

সাইফুদ্দিন বলেন, যখন নতুন করে কোনো আশা থাকে না, তখন বাজার এ ধরনেরই আচরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপ স্থগিত হলেও বস্ত্র খাতের শেয়ার দর হারাচ্ছে। এ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে এটি হতে পারে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কাগজ ও ছাপাখানা ছাড়া বাকি সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। তুলনামূলক বেশি দর হারিয়েছে বস্ত্র, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, পাট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি। পাঁচ খাতের লেনদেন হওয়া ৮৩ কোম্পানির মধ্যে ৬৬টির দর হারানোর বিপরীতে মাত্র ৯টির দর বেড়েছে। একক কোম্পানি হিসেবে প্রায় ১০ শতাংশ দর হারিয়ে পতনের শীর্ষে ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ। ৭ শতাংশের বেশি দর হারিয়ে পরের অবস্থানে ছিল সোনারগাঁ টেক্সটাইল, এসকে ট্রিমস, এসকোয়্যার নিট, এসএস স্টিল এবং মিথুন নিটিং।
সার্বিক দরপতনের মধ্যেও ডিএসইতে শেয়ার কেনাবেচা প্রায় ৩২ কোটি টাকা বেড়ে ৪৪৬ কোটি টাকা ছাড়ায়। এর মধ্যে এককভাবে ২৪ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল ম্যারিকো বাংলাদেশ। ২১ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে পরের অবস্থানে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর হ র য় ছ ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চার মাস পর লেনদেন ৩শ কোটির নিচে

মঙ্গলবারও দর পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমে সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে। তবে সূচকের চেয়ে বড় পতন হয়েছে লেনদেনে। গতকাল ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইর লেনদেন তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।

গতকাল ডিএসইর লেনদেন নেমেছে ২৯১ কোটি টাকায়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরের পর প্রথম এ বাজারে তিনশ কোটি টাকার কম কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন ছিল ৪৫৪ কোটি টাকা। একদিনে লেনদেন কমেছে ১৬৩ কোটি টাকা। 
এদিকে লাগাতার দর পতনের পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে রাজধানী মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন কিছু বিনিয়োগকারী। তারা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন।

গতকালের লেনদেন শেষে দেখা গেছে, ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১২৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে এবং কমেছে ১১টির।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে– ব্যাংক, বীমা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং টেলিযোগাযোগ খাতের অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। অন্যান্য খাতে মিশ্র ধারা ছিল। তবে ব্যাংকের শেয়ারদরই সূচকে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। 
লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পতনের ধারায় দিনের লেনদেন শুরু হয় । প্রথম ১৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক ২১ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯৩১ পয়েন্টে নামে। পরে সূচক পতন থামে। লেনদেনের প্রায় পুরোটা সময় উত্থান-পতনে কেটেছে। দিন শেষে ১৭ পয়েন্ট কমে ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে পতন, বৃষ্টিতে ভিজে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
  • চার মাস পর লেনদেন ৩শ কোটির নিচে
  • পুঁজিবাজারে পতন অব্যাহত, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
  • পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন