চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে গণজমায়েত ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার বেলা ১১টার পর ‘পঞ্চগড় জেলাবাসী’র ব্যানারে জেলা জজ আদালত চত্বরের সামনে এবং পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ জড়ো হন। পরে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে যায়। সেখানে মহাসড়কে গণজমায়েত ও মানববন্ধন হয়।

ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচির কারণে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে।

সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির ইকবাল হোসাইন, সাবেক পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, আইনজীবী মাহমুদ আল মামুন, বাপার আজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, ‘চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা মনে করি, পঞ্চগড়ই এ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে হলে ভুটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসবেন। চিকিৎসাসেবা নিতে আসবেন। পঞ্চগড়ের মানুষও বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।’

বক্তারা অভিযোগ করেন, পঞ্চগড় এখনো চিকিৎসাসেবার দিক থেকে অবহেলিত। পাশের জেলা নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থাকলেও পঞ্চগড়ে নেই। এখানকার হাসপাতালেও পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও আধুনিক সুবিধা নেই। রোগীদের রংপুর বা দিনাজপুরে পাঠাতে হয়, অনেক সময় পথেই মারা যান তাঁরা।

বক্তারা বলেন, জমির প্রয়োজন হলে এখনই তাঁরা জমি দিতে প্রস্তুত। তবু পঞ্চগড়ের অবহেলিত মানুষের কথা বিবেচনা করে এই জেলায় হাসপাতালটি করা হোক। পঞ্চগড়ে শুধু ১২ একর জমি নয়, শত শত একর নির্ভেজাল জমি আছে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার জন্য সরকার চাইলেই তাঁরা দিতে প্রস্তুত। তাঁরা চান, হাসপাতালটি পঞ্চগড়েই হোক। না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাবেন।

সমাবেশে আগামী শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর একই দাবিতে আবারও গণজমায়েতের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পর থেকে লাগাতার কর্মসূচি চলবে বলেও জানানো হয়। এর আগে গত সোমবার চৌরঙ্গী মোড়ে একই দাবিতে মানববন্ধন করেন জেলার লোকজন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণজম য় ত

এছাড়াও পড়ুন:

চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
  • রূপগঞ্জে মামুন হত্যা : মাহবুবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে মানববন্ধন
  • সাইক্লিস্ট হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন
  • ‘চট্টগ্রামে সাইক্লিস্ট ওসমানের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, হত্যা’
  •  সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
  • রাজশাহীতে বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
  • সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে
  • কাছারিবাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে, রবীন্দ্রস্মৃতিবিজড়িত  নিদর্শন নষ্ট হয়নি: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে