আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসার সবক উদ্বোধন
Published: 16th, April 2025 GMT
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসার সবক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাদ আছর পশ্চিম ভোলাইল জামে মসজিদ এ সবক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সবক প্রদান ও দোয়া পরিচালনা করেন জামিয়া আরবিয়া দারুল উলুম দেওভোগ মাদরাসার মহা পরিচালক আল্লামা আবু তাহের জিহাদি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ
আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ দারুল উলুম মাদ্রাসা মজলিসের শুরার সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান তার সভাপতি বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রয়াত শিল্পপতি বিশিষ্ট দানবীর ও শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ এই মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
এবং তিনি আমৃত্য মাদ্রাসার ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল তিনি মাদরাসাটিকে জেলার সেরা প্রতিষ্ঠান বানাবেন। আজ দুনিয়াতে তিনি নেই, তাই আমাদের দায়িত্ব হলো তার রেখে যাওয়া প্রতিষ্ঠান দুটোকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই এই লক্ষ্যে আমরা মাদ্রাসার দশ তলা ভবনের কাজ অতিসত্বর শুরু করবো।
আলহামদুলিল্লাহ এ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান খুবই ভালো। লেখাপড়ার ভালো মানের পিছনে।মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহতামিম মাওলানা তাজুল ইসলাম আব্বাস তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
যার ফলে লেখাপড়া সুনাম বয়ে আনছেন। প্রতিবছর জাতিয় বোর্ড পরীক্ষায় শতভাগ সফলতার পাশাপাশি সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান অর্জন করে আসছে।
এসময় তিনি এলাকা বাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি এলাকাবাসীকে বলব সবাই মিলে আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সাহেবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটিকে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে একটি অন্যতম মাদ্রাসা হিসেবে গড়ে তুলি।
যাতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্ররা হাফেজ-আলেম, মুফতি-মুহাদ্দেস হয়ে দেশ ও জাতির খেদমত করতে পারে।
এসময় অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষে এই বছর দুই শতাধিক ছাত্রকে সবক প্রদান করা হয়
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ র ল উল ম অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস