নোয়াখালী সদর উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে মদসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁর নাম নাছির উদ্দিন (৪৩)।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের আইয়ুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। নাছির উদ্দিন উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আওয়ামী লীগের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে এলাকায় আসেন নাছির উদ্দিন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আইয়ুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে নাছির উদ্দিনকে আটক করেন স্থানীয় একদল তরুণ। তাঁরা নাছিরের কাছ থেকে প্রায় চার লিটার চোলাই মদ উদ্ধারের দাবি করে তাঁকে মারধর করেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।

নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা, কিশোর গ্যাংসহ নানাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা ও ইউপি সদস্য হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পেতেন না। একই কারণে পুলিশ প্রশাসনও তাঁর বিষয়ে নীরব ছিল বলে জানান এলাকাবাসী।

জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নাছির উদ্দিন আগে থেকে মাদকের সঙ্গে জড়িত। এলাকার লোকজন তাঁকে চোলাই মদসহ আটক করেছেন। মারধরের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। মদ উদ্ধারের ঘটনায় মাদক আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্বের কয়টি মামলা রয়েছে, সেটি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রধর ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ