ফরিদপুরে হা-মীম গ্রুপের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি মসজিদের উন্নয়নে এ অনুদান দেওয়া হয়।

হা-মীম গ্রুপের পক্ষে এ অনুদান দেন হা-মীম গ্রুপ চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আক্কাস প্রামানিক, রাফিজুল খান, আবুল কালাম ও মো.

রুবেল।

ফরিদপুর পৌরসভা, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন, চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন, ডিক্রিরচর ইউনিয়ন ও কৈজুরি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি মসজিদের উন্নয়নে হা-মীম গ্রুপ এ অনুদানের অর্থ দেয়। হা-মীম গ্রুপ অসহায় দুস্থ মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের ও সমাজের উন্নয়ন কাজ করে চলছে।

কৈজুরী ইউনিয়নের আকইন ক্লাব বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মজিবর রহমান বলেন, এ মসজিদ একটি নির্মাণাধীন মসজিদ। হা-মীম গ্রুপের পক্ষ থেকে এই অনুদান পেয়ে মসজিদের পরিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেল। হা-মীম গ্রুপ ফরিদপুরসহ সারা দেশেই মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নে অনুদান দিয়ে থাকেন। 

হা-মীম গ্রুপের ফরিদপুর অফিস প্রতিনিধি রাফিজুল খান বলেন, হা-মীম গ্রুপের পক্ষ থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক মসজিদের জন্য অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত সদর উপজেলার ছয়-সাতটি ইউনিয়নের ৪০টি মসজিদে অনুদান দেওয়া হয়েছে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন দ ন অন দ ন দ উপজ ল র মসজ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ