“প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাই, আমার দোকানে আগুন লেগেছে। এসে দেখি সব শেষ। আমি এখন পথের ভিখারি।”
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় বাজারে লাগা আগুনে পুড়ে যাওয়া মালেক স্টোরের মালিক আব্দুল মালেক এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
আগুনে মালেক স্টোরের পাশাপাশি আরো চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাইদুলের মালামাল রাখার গোডাউন, মজনু স্টোর, জাহিদ ফার্মেসি ও শহীদ স্টোর। মনজুর নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ঝুটের গোডাউন ও দোকানে আগুন
চাঁদপুরে ১০ দোকানে আগুন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মাঠেরপাড় বাজারে মালেক স্টোরে আগুন দেখতে পান তারা। মুহূর্তে আগুন মার্কেটের আরো চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পাঁচটি দোকানে থাকা বিভিন্ন ধরনের মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডর আবু মোত্তালেব বলেন, “সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, “অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা হবে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি
বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, “বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”
বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ