তখনো বাকি ১০ ওভারের বেশি। রিতু মণিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন আলিয়া রিয়াজ। ব্যক্তিগত ফিফটির সঙ্গে এলো দলের জয়। তাতে ঝুলে গেলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য। 

লাহোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামে পাকিস্তান-বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাড়া করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। 

তাতে একমাত্র দল হিসেবে সর্বোচ ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে স্বাগতিক শিবির। বাংলাদেশের পয়েন্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের মধ্যে উইন্ডিজ জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ৬। তখন হিসেব হবে রানরেটের। জ্যোতিদের রানরেট ০.

৬৩৯ আর উইন্ডিজের -০.২৮৩। 

আলিয়া রিয়াজ ৫২ রান ও নাতালিয়া ১৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মুনিবা আলী। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার-নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।

এর আগে উইকেটের মিছিলে কোনোমতে দেড়শর বেশি রান করে থামে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিতু মণি। ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফাহিমা খাতুন। ২৪ রান করেন শারমিন আক্তার। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল। 

ঢাকা/রিয়াদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ