পাকিস্তানের কাছে হারে ঝুলে গেলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য
Published: 19th, April 2025 GMT
তখনো বাকি ১০ ওভারের বেশি। রিতু মণিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন আলিয়া রিয়াজ। ব্যক্তিগত ফিফটির সঙ্গে এলো দলের জয়। তাতে ঝুলে গেলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাগ্য।
লাহোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামে পাকিস্তান-বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাড়া করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
তাতে একমাত্র দল হিসেবে সর্বোচ ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে স্বাগতিক শিবির। বাংলাদেশের পয়েন্ট দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের মধ্যে উইন্ডিজ জিতলে তাদেরও পয়েন্ট হবে ৬। তখন হিসেব হবে রানরেটের। জ্যোতিদের রানরেট ০.
আলিয়া রিয়াজ ৫২ রান ও নাতালিয়া ১৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মুনিবা আলী। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার-নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
এর আগে উইকেটের মিছিলে কোনোমতে দেড়শর বেশি রান করে থামে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিতু মণি। ৪৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফাহিমা খাতুন। ২৪ রান করেন শারমিন আক্তার। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল।
ঢাকা/রিয়াদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?