হবিগঞ্জে মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে সামাদ উল্যা বাচ্চু (৪০) নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় উভয় পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভাটি শৈলজুড়া (গৈয়বপুর) গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন।
আহত সামাদ উপজেলার গৈয়বপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ উল্যার ছেলে। তিনি রাজিউড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন ছাড়া দেশ আর কতদিন চলবে: রিজভী
আসুন সবাই ড.
স্থানীয় সূত্র জানায়, গৈয়বপুর জামে মসজিদের ১৮ শতক জায়গা নিয়ে স্থানীয় আব্দুল আলীর সঙ্গে মসজিদ কমিটির সভাপতি মামুন মিয়ার পক্ষের লোকজনের বিরোধ ছিল। এরই জেরে শনিবার দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন মামুন মিয়ার পক্ষের সামাদকে কুপিয়ে জখম করে।
সংঘর্ষ চলাকালে হৃদয় মিয়া (২০), আজিজ উল্যাসহ (৮০) উভয় পক্ষের আরো কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক সামাদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। আহত ব্যক্তির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আহত ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস