দুজনে যাচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ি, পথে ভিমরুলের কামড়ে সমবায়কর্মীর মৃত্যু, স্ত্রী আইসিইউতে
Published: 20th, April 2025 GMT
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ভিমরুলের কামড়ে মো. সালামত মিয়াজী (৫৫) নামের এক সমবায়কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। একই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
মো. সালামত মিয়াজীর বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বড় দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়াজীর ছেলে। সালামত মিয়াজী ‘আলোর সন্ধানে বহুমুখী সমবায় সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সালামত মিয়াজী তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে তাঁরা শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ অনেকগুলো ভিমরুল এসে কামড়ায়। এ সময় তাঁরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভিমরুলের আক্রমণ থেকে উদ্ধার করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান সালামত মিয়াজী। তাঁর স্ত্রী সেলিনা আক্তার এখনো আইসিইউতে আছেন। সালামতের মেয়ে শাওনি আক্তার জানান, তাঁর মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল মত ম য় জ সমব য়
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও
মাত্র সাত দিন আগে বাবা মারা গেছেন। আজ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছেলে। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলচালক মো. মুরাদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্যপ্রয়াত মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মুরাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুরাদ তখন ঢাকায় ছিলেন। ছুটি শেষে আজ সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আনতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ‘জৈনপুর এক্সপ্রেস’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মুরাদ বাসের নিচে চাপা পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুরাদের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর (মুরাদ) বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী-সন্তানদের আর ঢাকায় নেওয়া হলো না তাঁর। এর আগেই সব শেষ।’
মুরাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।