নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অবিলম্বে বাতিল করতে হবে: ইসলামী ঐক্যজোট
Published: 20th, April 2025 GMT
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত কিছু দফা অত্যন্ত ভয়াবহ এবং নিঃসন্দেহে কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি বলে দাবি করে এসব প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমির আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ দফাই কোরআন-সুন্নাহর পরিপন্থি এবং ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক তাই অবিলম্বে এসব অন্যায় প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। উত্তরাধিকার বিষয়ে ভাই ও বোনকে সমান অধিকার দেওয়ার প্রস্তাব এবং যৌন কর্মীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রমিকের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবসহ আরও কিছু বিষয় যেগুলো ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সেইসব প্রস্তাব দ্রুত বাতিল করতে হবে, অন্যথায় সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থি মুসলিম পারিবারিক আইন অর্ডিন্যান্সের কারণে সমগ্র পাকিস্তানের সব ধর্মপ্রাণ ওলামা ও জনসাধারণ ঝাঁপিয়ে পড়ে আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিল। পরিণতি হিসেবে পাকিস্তান ধ্বংস হয়েছে। আমার আশঙ্কা হয়, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ইহুদি, নাসারা, নাস্তিক ও ভারতের ভয়ানক কিছু এজেন্টের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প রস ত ব ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?