‘হ্যাঁ, অ্যাশেজ তো আছেই। কিন্তু আমার মতে, এটা অ্যাশেজের চেয়েও বড়।’
বক্তা ক্রিকেটের ‘প্রফেসর’ রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে অ্যাশেজের চেয়েও কী বড়, সেই গল্পের ভিতটা বলছেন শোয়েব আখতার, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতিহাস আছে।’
বীরেন্দর শেবাগ বলছেন সাতচল্লিশে সেই ইতিহাসের শুরুটা, ‘ভারত ও পাকিস্তান আলাদা দেশ হওয়ার আগে একটি দেশই ছিল। দুই ভাই আলাদা হয়ে গেল।’
ভাই?
মানচিত্র দেখে কল্পচোখে পাশাপাশি দুই ভাইয়ের বাড়ি মনে হয় বটে, কিন্তু সম্পর্কে যে সাপে-নেউলে তা সবাই জানে। রমিজ রাজার মতে, দুই প্রতিবেশীর পাল্টাপাল্টি এই সম্পর্কের মূল আঁচটা আসে ‘রাজনৈতিক সম্পর্ক’ থেকে। স্রেফ বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচগ্র্য মেদিনী। সেটা হোক যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা ক্রিকেট মাঠে। পরেরটিতে চাপ আরও বেশি।

আরও পড়ুনগভীর রাতে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি, শুধু এক জোড়া পা দেখার জন্য২০ এপ্রিল ২০২৫

যুদ্ধ কেউ চায় না, কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ চায় গোটা দুনিয়া। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বাদ-গন্ধই আলাদা। সাধারণ এক ক্রিকেট–ভক্ত বলছেন, এই ম্যাচ দেখতে তাঁরা নাকি সাত-আট দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নেন। আর শচীন টেন্ডুলকারের জীবনে এমন ১৪-১৫ বার হয়েছে যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে আগের রাতে…।
তিনটি ডট চিহ্নিত ফাঁকা জায়গাগুলো পূরণে দেখতে পারেন নেটফ্লিক্সের ডকুসিরিজ ‘দ্য গ্রেটেস্ট রাইভালারি: ইন্ডিয়া-পাকিস্তান’।

‘দ্য গ্রেটেস্ট রাইভালারি: ইন্ডিয়া-পাকিস্তান’-এর একটা প্রধান চরিত্র শোয়েব আখতার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ