টিকটকে পরিচয় থেকে বিয়ে, এরপর হঠাৎ 'নিখোঁজ' স্বামী
Published: 21st, April 2025 GMT
টিকটকে পরিচয়ের সূত্র ধরে মৌলভীবাজারের এক তরুণের সঙ্গে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা। একপর্যায়ে নববধূর কাছ থেকে পালিয়ে যান ওই তরুণ। পরে স্বামীর খোঁজে তার গ্রামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন ভুক্তভোগী। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাননি। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কাটারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায়।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটকে গত জানুয়ারিতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর (২১) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল ওয়াকিব চট্টগ্রামে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব। গত ১৫ এপ্রিল নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ওয়াকিব। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন ওই তরুণী। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওয়াকিবের বাড়ির সন্ধান পেলেও স্বামীকে পাননি। পরে তিনি স্থানীয় খলিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হন। তরুণীর দাবি, তার স্বামীকে পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীর বাড়িতে লুকিয়ে রেখে রেখেছেন এবং তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামীর সন্ধান পেতে বর্তমানে তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে রয়েছেন।
ওয়াকিবের বাবা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাটারাই গ্রামের কয়েকজন জানান, গত রোববার বিকেলেও ওয়াকিবকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট কটক
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরীকে অপহরণের পর বিয়ে, সালিসে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সালিস বৈঠকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির (৫৮) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা বলেন, গত বুধবার একই এলাকার মুহাম্মদ রিফাত নামের এক তরুণ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে নিহত ওই ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে অপহরণ করেন। এরপর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। ওই রাতেই হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এরপর পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এসব নিয়ে শনিবার রাতে উভয় পক্ষ সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্কুলছাত্রীর কাছে ঘটনা জানতে চান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর বাবাকে মারধর করা হয়। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু কাউসার মুহাম্মদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।