মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published: 22nd, April 2025 GMT
মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে মামলা করার অভিযোগে মিঠুন সরকার (২৮) নামের এক বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নাটোরের নলডাঙ্গা আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে নলডাঙ্গা আমলি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী গাজিউর রহমান সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিঠুন সরকার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল জামতলি গ্রামের আহম্মদ সরকারের ছেলে। তিনি গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নলডাঙ্গা আমলি আদালতে হাজির হয়ে একই এলাকার নাজিম উদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নলডাঙ্গা থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেন আদালত। তদন্তে বাদীর মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
নলডাঙ্গা আমলি আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিঠুন সরকারের দায়ের করা মামলায় (১৮২সি/২৪) আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায় ও ডাকাতির অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। রবিবার মামলাটির ধার্য তারিখ থাকলেও বাদী আদালতে হাজির হননি। এ কারণে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী বাদী হয়ে ফৌজদারি কার্যবিধির ২১১ ধারায় বাদী মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মামলা করেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। মামলায় আদালতের বেঞ্চ সহকারী গাজিউর রহমান ও তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামকে সাক্ষী করা হয়েছে। একইসঙ্গে মিঠুন সরকারের মামলাটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/আরিফুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ঠ ন সরক র সরক র র নলড ঙ গ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।