পানিতে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে ৬ শিশু অসুস্থ
Published: 22nd, April 2025 GMT
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে ছয় শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই শিশুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার পরে আক্রান্ত শিশুদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো, কাচারীতলা গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মন্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) এবং মারুফ শাহের ছেলে মার্ফিয়া (৬)। তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরো পড়ুন:
রোগীর মৃত্যু, অবহেলার অভিযোগে মেডিকেল অফিসারকে মারধর
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল, হাসপাতাল থেকে শিশু নিয়ে পালাচ্ছেন নারী
শিশুদের স্বজনরা জানান, কাচারীতলা গ্রামের রমজান মন্ডল সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের পর ঘাস মারা কীটনাশক জমিতে ছিটিয়ে বোতল ফেলে দেন। বোতলে খুব অল্প পরিমাণ ওষুধ ছিল। বিকালে কয়েকজন শিশু খেলার সময় না বুঝে বোতলের ওষুধ রাস্তার পাশের নলকূপের ভিতরে পানিতে মিশিয়ে দেয়। পরে তারা ওই পানি পানও করে।
এরপর সন্ধ্যার দিকে কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইনের পেটে ব্যথা শুরু হয়। তখন ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলে নলকূপের ধারে গিয়ে কীটনাশকের বোতল পান অভিভাবকরা। পরে শিশুটিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাত ৯টার পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাতেই কীটনাশক মেশানো পানি পান করা অপর পাঁচ শিশুর পেটে ও গলা ব্যথা, বমি শুরু হয়। রাতেই তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশু হোসাইনের মা মমতাজ খাতুন বলেন, ‘‘ছেলের পেট ব্যথা শুরু হলে হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক সদর হাসপাতালে পাঠান। সদর হাসপাতালে ওয়াশ করে বিষ বের করা হয়েছে।’’
আহত শিশুর বাবা মারুফ শাহ বলেন, ‘‘মেয়েটার হঠাৎ করে সন্ধ্যার পর পেটে ও গলায় ব্যথা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বমি করতে থাকে। তখন সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখন মেয়েটা সুস্থ আছে।’’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, অসাবধানতাবশত খেলার ছলে শিশুরা নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি শত্রুতামূলক কিছু না। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ করেনি।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নলক প র প ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।