2025-06-15@21:52:57 GMT
إجمالي نتائج البحث: 57

«নলক প র»:

    ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে ভয়াবহ পানি সংকট দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি ওঠে না গভীর নলকূপে। পানির চাহিদা মেটাতে জনস্বাস্থ্যের উদ্যোগে প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। কিন্তু ঠিকাদারের অনিয়ম এবং পৌরসভার গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতায় আজও সুফল বয়ে আনেনি প্রকল্পটি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গত ৩০ বছরের হিসাব অনুযায়ী, নলছিটি পৌর এলাকার ১৭টি গ্রামে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৭৩টি ও বেসরকারিভাবে ২ হাজার ৫০০ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু বিরূপ প্রভাবে  উপজেলায় ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পৌর এলাকার বেশির ভাগ নলকূপ অকেজো। এ অবস্থায় ২০১৬ সালের পর থেকে পৌর এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো বন্ধ আছে। সচ্ছল পরিবার নিজ খরচে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে চাহিদা  পূরণ করলেও পানির জন্য হাহাকার করছে নিম্ন আয়ের...
    ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে আবারও ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এ কারণে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।যমুনা সেতু সাইট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে চলেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন যমুনা সেতুর পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকায় দেখা গেছে, ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট চলছে। নলকা সেতু থেকে ঝাঐল উড়ালসড়ক হয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজট দেখা গেছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমে...
    টাঙ্গাইল সদরের ভাঁটচান্দা গ্রামের প্রান্তিক চাষি আব্দুল কাদের। চলতি মৌসুমে ভাঁটচান্দা মৌজার গভীর নলকূপের আওতায় দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। উৎপাদন মূল্যের চড়া বাজারে টাকার পরিবর্তে সেচ পাম্প মালিকরা ধান নেয়ায় তিনি প্রায় নয় হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আব্দুল কাদের বলেন, “এই মৌজায় প্রায় ৪৫ বছর যাব ধান চাষ করি। আগে টাকা নিলেও বর্তমানে ধান নিচ্ছে। এত আমরা প্রান্তিক কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ক্ষতি পোষাতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাকা নেওয়ার দাবি করছি।” শুধু আব্দুল কাদের নয়, ১২টি উপজেলায় ১৮৪টি গভীর নলকূপের বেশির ভাগ প্রান্তিক ধান চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কৃষকরা বলছেন, প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও ধান নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। টাকা নেওয়ার কথা...
    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মুরগিবাহী ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের ভদ্রঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিনজন হলেন জেলার তাড়াশ উপজেলার তেঘুরি গ্রামের শোয়েব আলী (২২), রায়গঞ্জ উপজেলার শেনগাতী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (২০) এবং একই গ্রামের আবদুল গাফফার (২১)। তাঁরা একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে নলকা সেতু এলাকা থেকে মোটরসাইকেলে তিন বন্ধু সিরাজগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের মোটরসাইকেলটি সিরাজগঞ্জ শহর-নলকা আঞ্চলিক সড়কের ভদ্রঘাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি মুরগিবাহী ট্রাক তাঁদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে–মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ...
    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে ট্রাকচাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতারা হলেন, জেলার উল্লাপাড়ার সলঙ্গা থানার নলকা সেনগাতী এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২২), আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল গাফফার (২২) ও তাড়াশ উপজেলার তেঘরি গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে শোয়েব আলী (২০)।  জানা যায়, উপজেলার ভদ্রঘাট এলাকায় এসিআই-গোদরেজ মিলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।  কামারখন্দ ওসি আব্দুর রউফ জানান, পরিবারের লোকজন রাজি না হওয়ায় আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত ছাড়াই বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহগুলো স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়। 
    খুলনায় গত মার্চ থেকে হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। কিছু এলাকায় গভীর উৎপাদক নলকূপেও (মাটির নিচে বসানো পাম্প) পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। খুলনা ওয়াসার নিজস্ব পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ বছরে ভূগর্ভের পানির স্তর ১ দশমিক ৯৮ মিটার থেকে ৪ দশমিক শূন্য ৪ মিটার পর্যন্ত নিচে নেমেছে। যার কারণে শুষ্ক মৌসুমে ওয়াসার নিজস্ব উৎপাদক নলকূপেও পানি উঠছে কম। এমন সংকটের মধ্যে নতুন করে আরও ৭৫টি গভীর উৎপাদক নলকূপ বসাতে যাচ্ছে খুলনা ওয়াসা। এসব নলকূপ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটার এবং অন্য সময় প্রতিদিন ৫০ লাখ থেকে আড়াই কোটি লিটার করে পানি তোলা হবে। পাম্প বসানোর জন্য গত ২৭ এপ্রিল দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, যথেচ্ছভাবে ভূগর্ভের পানি তোলায় স্তর প্রতিবছর নিচে নামছে। ওয়াসার এই উদ্যোগে বিপদ আরও...
    এক কলস পানি ভর্তি করতে প্রায় ঘণ্টাখানেক নলকূপ চাপতে হতো মনোয়ারাদের। এখন মুহূর্তে পানিতে ভর্তি হচ্ছে কলস। মিরসরাইয়ে করেরহাট আজিজনগরে সৌরবিদ্যুৎচালিত একটি গভীর নলকূপ বসানোর সুফল পাচ্ছে ৪০টি পরিবার। আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহযোগিতা ও অর্থায়নে এই নলকূপ বসানো হয়েছে। জানা গেছে, আজিজনগর গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগছিলেন। অগভীর নলকূপে পানি পাওয়া যেত না। এলাকার ৪০টি পরিবারের অন্তত ২০০ মানুষ মাটি খনন করে ৩০ ফুট গভীরে স্থাপন করা একটি নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতেন। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নলকূপটির পানিও শুকিয়ে যেত, বর্ষাকালে নলকূপটি বৃষ্টির পানিতে ডুবে যেত। ফলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিত। আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এলাকার সুপেয় পানির সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেয়, আজিজনগর গ্রামে সৌরবিদ্যুৎচালিত একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে।  গত সোমবার...
    ভূগর্ভের পানি তুলে বোতলজাত করে ব্যবসা করছে ‘অমৃত কনজ্যুমার ফুড প্রোডাক্ট’ নামে একটি কোম্পানি। বাবুগঞ্জের রহমতপুরে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে কারখানার জন্য একটি গভীর নলকূপের অনুমোদন নেয়। প্রতিদিন ১৬ হাজার লিটারের অনুমতি নিয়ে আরও তিনটি কূপ স্থাপন করে এক লাখ লিটার পানি তুলে বিক্রি শুরু করে। পানি নিয়ে অমৃতের এ অনাচারে ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।  পানির জন্য হাহাকার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বহুতল ভবন, কারখানা নির্মাণ এবং এসবের জন্য পানির চাহিদা মেটাতে বাবুগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে পাম্প বসানো হয়েছে। এতে পানির স্তর নেমে গেছে। ৮০ ভাগ নলকূপ এখন অকেজো। আগে যেখানে ৭৫০ থেকে ৮০০ ফুট নিচে গেলে নলকূপে মিলত বিশুদ্ধ পানি, সেখানে এখন সাড়ে ৯০০ ফুট নিচে যেতে হচ্ছে। বৈদ্যুতিক মোটরেও পানি তোলা যাচ্ছে না। খাবার...
    বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোতালেব হোসেন আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  গত সোমবার উপজেলার রত্নপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী এস এম আবুল কালাম আজাদ ও আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।  জানা গেছে, সোমবার সকালে দশম শ্রেণির দুই ছাত্রী বিদ্যালয়ের গভীর নলকূপ থেকে পানি আনতে গেলে পানিতে তীব্র দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক সাদা রং লক্ষ্য করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তদন্ত করার সময় নলকূপের পাশে একটি কীটনাশক বিষের বোতল  (নাইট্রো ইনসেকটিসাইড ৫০৫ ইসি) খুঁজে পায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান শিক্ষককে মোবাইল ফোনে...
    ‘আগে অল্প কিছু ভাঙিছেল। কালকে রাত্রি তালা ভাঙে সবকিছু নিয়ে গেছে। ঘরে আর কোনো জিনিস নেই। পানি খাওয়ার কলডাও (নলকূপ) খুলে নিয়ে গেছে। ঘরে থাকা কয়ডা চাল, থালবাটিও নিয়ে গেছে। যা করিছে, তা মাইনষির সাথে মাইনষি করে না।’গতকাল শুক্রবার দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা–হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের বৃদ্ধা রাশেদা বেগম। তাঁর অভিযোগ, প্রতিপক্ষ স্থানীয় মিলনপক্ষের লোকজন গত বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে হামলা করে এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। এখন তিনি কোথায় থাকবেন, কী খাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মিলন মোল্যার পক্ষের সঙ্গে পিকুল শেখ ও আফতাব মোল্যার পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পিকুলপক্ষের ফরিদ মোল্যা (৫০) নিহত হন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ মিলনদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা...
    কক্সবাজারের চকরিয়ার বিশুদ্ধ পানি সংকটের এক উদ্বেগজনক চিত্র শুক্রবার সমকালে তুলিয়া ধরা হইয়াছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এই উপজেলার বিশুদ্ধ পানি সংকট নিরসনে গত তিন বৎসরে ১৮টি ইউনিয়নে সাত সহস্রাধিক গভীর নলকূপ স্থাপন করে। তথায় বেসরকারি গভীর নলকূপও রহিয়াছে ৯ সহস্র। কিন্তু এই সকল গভীর ও অগভীর নলকূপের অধিকাংশেই পানি উঠিতেছে না। ফলস্বরূপ, এলাকার লোকজন বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়িয়া খাল, নদীনালা ও পুকুর হইতে পানি সংগ্রহ করিয়া পান করিতেছেন এবং রান্নাবান্নার কাজ চালাইতেছেন। ইহা স্বাস্থ্যকর তো নয়ই, ভুক্তভোগীদের শরীরে নানাবিধ রোগের সংক্রমণ ঘটিবার আশঙ্কা দেখা দিয়াছে। প্রতিবেদনমতে, কোনো কোনো এলাকায় একটি বা দুইটি গভীর নলকূপ সচল আছে, যথা হইতে পানি সংগ্রহের জন্য কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী গ্রামের মানুষ ছুটিয়া আসিতেছে। পানির জন্য একই সময়ে বহু মানুষ একত্রিত হইবার কারণে শুধু সময়েরই...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে বনঘেঁষা খলচন্দা গ্রামে ৫০টি কোচ পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্যের বসবাস। শুকনো মৌসুমে এখানে পানির সংকট পুরোনো। এবার সেই সংকট আরও বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। পাহাড়ি টিলার ওপর একটি মাত্র নলকূপের পানিই তাদের ভরসা। গ্রামের শেষ মাথায় পানি সংগ্রহে এসেছেন এ গ্রামের চিত্রা রানী কোচ। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সারা গেরামে একটা টিউবয়েল। তাও বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। হেঁটে যেতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে এ কষ্ট সহ্য হয় না।’  এ সময় চিত্রা রানীর সঙ্গে ছিলেন গ্রামের আরও কয়েকজন নারী। তারাও এসেছেন পানি নিতে। তারা জানান, পাহাড়ে প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য হাহাকার চলছে। গোসল, কাপড় ধোয়া ও গৃহস্থালি কাজে বাড়ির পাশে চেল্লাখালী নদীর পানি ব্যাবহার করেন। বছরের প্রায়...
    শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে বনঘেঁষা খলচন্দা গ্রামে ৫০টি কোচ পরিবারের পাঁচ শতাধিক সদস্যের বসবাস। শুকনো মৌসুমে এখানে পানির সংকট পুরোনো। এবার সেই সংকট আরও বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। পাহাড়ি টিলার ওপর একটি মাত্র গভীর নলকূপের পানিই তাদের ভরসা। গ্রামের শেষ মাথায় পানি সংগ্রহে এসেছেন এ গ্রামের চিত্রা রানী কোচ। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘সারা গেরামে একটা টিউবয়েল। তাও বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। হেঁটে যেতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে এ কষ্ট সহ্য হয় না।’ এ সময় চিত্রা রানীর সঙ্গে ছিলেন গ্রামের আরও কয়েকজন নারী। তারাও এসেছেন পানি নিতে। তারা জানান, পাহাড়ে প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির জন্য হাহাকার চলছে। গোসল, কাপড় ধোয়া, ও গৃহস্থালি কাজে বাড়ির পাশে চেল্লাখালী নদীর পানি ব্যাবহার করেন। বছরের...
    কক্সবাজারের চকরিয়ায় গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি উঠছে না। প্রতিবছর গ্রীষ্মে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।  জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এ উপজেলার বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে গত তিন বছরে ১৮টি ইউনিয়নে সাত হাজার ২৯২টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। এছাড়া বেসরকারি গভীর নলকূপ রয়েছে ৯ হাজার। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ নলকূপে পানি উঠছে না। বিশেষ করে চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ সময় পর্যন্ত পানির এ সংকট তীব্র হয়। এলাকার লোকজন বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়ে খাল, নদী-নালা ও পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করছেন এবং রান্নাবান্নার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।  ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় স্থাপন করা অগভীর নলকূপে পানি উঠছে না। মাঝেমধ্যে কয়েকটি গভীর...
    গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে চারদিকে পানির বিপুল চাহিদা। এক ফোঁটা পানির জন্য হাহাকার করে মানুষ, পশুপাখি, প্রকৃতিসহ সকল জীব। এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবগুলো আবাসিক হলে দেখা মেলে পানি অপচয়ের এক করুন দৃশ্য। প্রায় সব সময়ই পূর্ণ হয়ে যাওয়া চৌবাচ্চা হতে অবিরাম ধারায় পানি উপচে পড়তে থাকে। বছরজুড়ে প্রতিটি হলের একটি সাধারণ চিত্র হয়ে উঠেছে এটি। চৌবাচ্চা পূর্ণ হওয়ার কোনো সংকেত ব্যবস্থা নেই, হলের কর্মচারীদেরও নেই বিশেষ কোনো নজরদারি। এমন অবিরাম অপচয়ের প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতেও, দিন দিন ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ টিউবওয়েলে আর পানি পাওয়া যায় না, ব্যবহার করতে হয় ভূগর্ভস্থ গভীর নলকূপ। পানির সংকটাবস্থা ভবিষ্যতে আরো তীব্র হতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীদের জীবনধারণে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহের অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। এ ছাড়াও পানি তোলার জন্য...
    পদ্মা নদীর (গঙ্গা) বাংলাদেশে প্রবেশমুখে ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুধু তা–ই নয়, এই বাঁধের কারণে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের আরও চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন কমিটির সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক ও নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। আগামীকাল ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ফারাক্কা লং মার্চের অংশগ্রহণকারী মাহমুদ জামাল কাদেরী উপস্থিত ছিলেন।দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল শোভাযাত্রা ও রাজশাহী কলেজে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ উপস্থিত থাকবেন।লিখিত বক্তব্যে মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ফারাক্কা বাঁধের...
    পদ্মার উজানে ভারতের নির্মাণ করা ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের কমপক্ষে ৬ কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের মধ্যে আছেন উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি এবং দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের ৪ কোটি মানুষ। ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজশাহীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির আহ্বায়ক ও নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। এ সময় ফারাক্কা লং মার্চের অংশগ্রহণকারী মাহমুদ জামাল কাদেরী উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব সিদ্দিকী জানান, ফারাক্কার প্রভাবে গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রজেক্টে পানিস্বল্পতার কারণে ৬৫ শতাংশ এলাকায় সেচ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উজান থেকে স্বাদু পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায়...
    কুমিল্লার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে। সেখানে কর্মরত আছেন তিনজন শিক্ষক। এমন দৈন্যদশা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, দুই কক্ষের একটি ভবনে পাঁচটি বৈদ্যুতিক পাখা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। শিক্ষকরা বলেছেন, বিদ্যুৎ লাইন আনা হলেও বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়ে গেছে একাধিকবার। পানির মোটর ও নলকূপ নষ্ট। পতাকা স্ট্যান্ডের রশিও চুরি হয়ে যায়। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগে এখানে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও শিশুরা পাশের একটি মাদ্রাসা ও কিন্ডার গার্টেনমুখী হওয়ায় ধীরে ধীরে কমতে থাকে শিক্ষার্থী। অনেকে ভর্তি হলেও কয়েকদিন এসে ফেরত চলে যায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, কোনো কোনো অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেও কিছুদিন পর আবার কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসায় ভর্তি...
    ছ‌বি: প্রথম আলো
    জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পোড়াগ্যাড়া মাঠে পাহারাদারকে বেঁধে রেখে একটি গভীর নলকূপের ১০ কেভি ক্ষমতার তিনটি ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় খোলস ফেলে রেখে গেছে তারা। গতকাল শনিবার নলকূপের মালিক বিষয়টি টের পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও থানায় জানান। এর আগে শুক্রবার রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭৯টি ট্রান্সফরমার ও ১৫টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটল বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। একের পর এক চুরির কারণে প্রামাণিকপাড়ার হেলাল উদ্দিন প্রামাণিক তাঁর নলকূপের ট্রান্সফরমার ও মিটার রক্ষায় এবং সেচকাজ পরিচালনায় পাহারাদার রাখেন।  শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে রেখে বাড়িতে আসেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাহারাদারকে বেঁধে খুঁটি থেকে তিনটি ট্রান্সফরমার নামিয়ে খোলস রেখে তামার তার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে...
    নিজের কার্ড দিয়ে পানি দিতে গেলে অপারেটরদের নাগাল পাওয়া যায় না। তাদের কার্ডে পানি নিলে ১২৫ টাকার পানির জন্য গুনতে হয় ৬৫০-৭৫০ টাকা। কোথাও অভিযোগ দিয়ে কাজ হয় না। জমিতে আউশ ধান ও পাট বীজ বপন শুরু হয়েছে। এখন পানির প্রয়োজন অনেক বেশি। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই পানি কিনছি। এভাবে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমাপাড়া ইউনিয়নের কামিনী গ্রামের রায়হান আলী।  একই অভিযোগ সদর ইউনিয়নের রাওথা গ্রামের কৃষক বাহাদুর আলীর। পানির জন্য বরেন্দ্রের কার্ড করেছেন তিনি। অপারেটর মানিক আলী নানা অজুহাতে পানি দেন না। পরে তাঁর কার্ড থেকে পানি নেওয়া শুরু করেন। গত বছর এক বিঘা জমিতে এক ঘণ্টা পানি দিতে ৪০০ টাকা গুনতে হয়েছে। এ বছর ৬০০-৬৫০ টাকা দাবি করা...
    নোয়াখালীর চরাঞ্চলে গত চার-পাঁচ বছর ধরে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। বিশেষ করে জেলার সুবর্ণচরে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট রয়েছে জেলার সদর উপজেলায়ও। সাবমার্সিবল পাম্প (ডুবো নলকূপ) ছাড়া কোথাও মিলছে না সুপেয় পানি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বোরো আবাদে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়াই এই সংকটের প্রধান কারণ। তাই এ ক্ষেত্রে বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা করা না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেন জামে মসজিদসংলগ্ন বাড়ির সাবমার্সিবল পাম্পের পানির কলের সামনে কলসি, বালতি, প্লাস্টিকের জার নিয়ে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। তাঁরা জানান, এভাবে প্রতিদিন তাঁরা পানি সংগ্রহ করেন। কখনো কখনো বিদ্যুৎ না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত চার-পাঁচ বছর ধরে শুষ্ক...
    কোথাও লোহার খাঁচায় পুরে শিকলে বেঁধে রাখা হচ্ছে, কোথাওবা গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও হাইড্রোলিক হর্ন। অনেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পাহারাও বসিয়েছেন; কিন্তু কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরি।  এ চিত্র জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার ফসলের মাঠের।  চলতি বোরো মৌসুমে এসব মাঠের গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে ১৬১টি ট্রান্সফরমার ও ৭১টি মিটার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১৪টি ট্রান্সফরমার ও ৩টি মিটার, পাঁচবিবিতে ৩৬টি ট্রান্সফরমার ১০টি মিটার, আক্কেলপুরে ২১টি ট্রান্সফরমার ও ২৯টি মিটার, কালাইয়ে ৭৬টি ট্রান্সফরমার ও ১৫টি মিটার এবং ক্ষেতলালে ১৪টি ট্রান্সফরমার ও ১৪টি মিটার চুরি হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় মালিকরা থানায় এজাহার দিয়েছেন। পুলিশ দু-একজনকে আটক করলেও অধিকাংশই পার পেয়ে গেছে। একের পর এক ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরির ঘটনায় সেচপাম্প নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গভীর-অগভীর...
    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে ছয় শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই শিশুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৯টার পরে আক্রান্ত শিশুদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো, কাচারীতলা গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মন্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) এবং মারুফ শাহের ছেলে মার্ফিয়া (৬)। তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আরো পড়ুন: রোগীর মৃত্যু, অবহেলার অভিযোগে মেডিকেল অফিসারকে মারধর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল, হাসপাতাল থেকে শিশু নিয়ে পালাচ্ছেন নারী শিশুদের স্বজনরা জানান, কাচারীতলা গ্রামের রমজান মন্ডল...
    ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাচারীতলা গ্রামে খেলার সময় নলকূপের পানির সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৬ শিশু। সোমবার রাত ৯টার দিকে তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা হলো- ওই গ্রামের কামিরুল শাহের ছেলে হোসাইন শাহ (৪), সাইফুল শাহের মেয়ে মরিয়ম (৭), সাগর খাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), হাসান মন্ডলের মেয়ে জান্নাতুল (৯), রতন শাহের ছেলে রোকেয়া (৯) ও মারুফ শাহের ছেলে মার্ফিয়া (৬)। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।  শিশুদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে কাচারীতলা গ্রামের রমজান মন্ডল জমিতে ঘাস মারার কীটনাশক ছিটিয়ে বোতলে কিছু ওষুধ রেখে পাশের আম বাগানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। পরে ভুল করে ওই বোতল ফেলে বাড়িতে চলে যান তিনি। বিকেলে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ির ছয়টি শিশু বোতলটি কুড়িয়ে...
    হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গভীর নলকূপ থেকে পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মীরহাটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আজমীরিগঞ্জ থানার ওসি এবিএম মাঈদুল হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়- উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কয়েকদিন থেকে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মীরহাটি গ্রামের অলি মিয়ার ২০ বছর বয়সী মেয়ে মধ্যপাড়া গ্রামের মাদরাসার পেছনে ওয়াহিদ মিয়ার বাড়ির সামনের সরকারি গভীর নলকূপ থেকে পানি আনতে যান। এ সময় ওই গ্রামের আজমান মিয়ার ছেলে ওয়াসিম মিয়া পানি নিতে বাধা দেন। মেয়েটি প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে কথা...
    কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কোনামাটি গ্রামে যে কয়টি হস্তচালিত নলকূপ ছিল, সবগুলোই বিকল হয়ে গেছে। একটি দিয়েও এখন আর পানি উঠে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত কয়েক বছর চৈত্রমাস পর্যন্ত পানি পাওয়া গেলেও এ বছর ফাল্গুন মাসের শুরু থেকেই নলকূপে পানি উঠছে না। এমন অবস্থায় গ্রামের লোকজন যাদের সাবমারসিবল পাম্প রয়েছে সেখানে ঘটিবাটি-কলস নিয়ে ভিড় করছেন। পুরো রমজান মাসে একটু খাবার পানির জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। কোনামাটি গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মিয়া বলেন, ‘‘চার থেকে পাঁচ মাস আগে বাড়িতে নলকূপ বসিয়েছি। মাত্র এক-দেড় মাস পানি পেয়েছি। কিন্তু, ফাল্গুন মাস থেকে নলকূপ দিয়ে আর পানি উঠছে না।’’ একই অবস্থা গ্রামের আব্দুল আউয়াল, রেখা আক্তার ও ফাতেমা আক্তারের। বৃদ্ধা ফাতেমা আক্তার জানান, ধারদেনা করে নলকূপ বসিয়েছেন। পানি...
    প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুম এলেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের হাওর-বাঁওড়, খালবিল, নদীনালার পানি শুকিয়ে যায়। এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করতে হয় এ এলাকার মানুষের। কিন্তু চলতি বছর বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে নলকূপ থেকেও উঠছে না পানি। এতে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীকে বাজার থেকে বোতলজাত পানি কিনে খেতে হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।  জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার নছরতপুর, বরগাছ, আলেপুর, পতনঊষার, শমশেরনগর, সদর ইউনিয়ন, মুন্সীবাজার, আলীনগর, রহিমপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ নলকূপেই পানি উঠছে না। নলকূপ থেকে পানি না পাওয়ার কারণে এলাকাবাসী বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেককে দূরবর্তী জায়গা থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কেউ কেউ দোকান থেকে নিয়মিত পানি কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধরে শুষ্ক...
    অষ্টগ্রাম উপজেলায় পানির সংকট বর্তমানে একটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাওয়ায় এই সংকট দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন কৃষিকাজের মাধ্যমে। ফলে পানির অভাব শুধু কৃষি নয়, বরং এখানকার সামগ্রিক জনজীবনেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।সেচের জন্য বহু এলাকায় গভীর নলকূপের ব্যবহার থাকলেও নলকূপের পানি উত্তোলন এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গভীর নলকূপে সামান্য পানি থাকলেও সাধারণ পাম্প দিয়ে সেই পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেক জায়গায় অগভীর নলকূপ ও টিউবওয়েল থেকে এখন আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ৮০ শতাংশ টিউবওয়েলে কোনো পানি নেই। মানুষের দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজে সংকট দেখা দিচ্ছে, সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে সুপেয় পানির সংকটে।এই সংকট শুধু...
    এক সময়ের পানির আধার ছিল নোয়াখালীর উপকূলীয় সুবর্ণচর। গত কয়েক বছরে রবিশস্যের এ জনপদের মাঠ-ঘাট শুকিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। ভূগর্ভের পানি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়িঘরের গভীর নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। এমন পরিস্থতিতে পানির জন্য দল-মত নির্বিশেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পথে নেমে জানান দিলেন, আর বসে থাকা নয় এখনই সচেতন হতে হবে। না হলে অবশ্যম্ভাবী বিপদের মুখে পড়তে হবে। স্লোগানে-প্ল্যাকার্ডে ফুটে ওঠে পানি সংরক্ষণ ও অপচয়রোধে সচেতনতামূলক নানান কথা। ‘পানিই জীবন পানিই প্রাণ/পানি বাঁচাতে হাত লাগান’ এমনই স্লোগানে মুখর ছিল পদযত্রা। বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পানি সংকট নিরসনের আহ্বান নিয়ে স্থানীয় কিছু তরুণ পদযাত্রার আয়োজন করে। তাঁদের সঙ্গে পা মেলান সর্বস্তরের মানুষ। চরবাটা খাসের হাট রাস্তার মাথা ও চরজব্বার ডিগ্রি কলেজ থেকে উপজেলা...
    ‘পানির মতো সহজ’ কথাটি বাংলাদেশে সুপেয় পানির ক্ষেত্রে খাটছে না। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলসহ অর্ধেক এলাকায় গত কয়েক বছর মিলছে না নিরাপদ পানি। বছর পাঁচেক আগেও যেসব এলাকায় পানি ছিল সহজলভ্য, এখন সেখানেই তীব্র সংকট। শুধু বরেন্দ্র অঞ্চলেরই এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট। বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনার মতো অসংখ্য নদনদীবেষ্টিত এলাকায়ও পানির সংকট তীব্র। রাজবাড়ীর মতো পদ্মা তীরের জেলায় শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর-খাল; পানি উঠছে না নলকূপে। হাওরেও একই সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়েছে। অপরিকল্পিতভাবে উত্তোলনের কারণে ক্রমাগত নামছে স্তর। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টি কমে গেছে। ফলে গ্রামের মানুষকেও এখন তৃষ্ণা মেটাতে টাকা খরচ করতে হচ্ছে। লাগামহীন ভূগর্ভস্থ পানি তোলা বন্ধ না হলে সামনে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। এ অবস্থায় আজ...
    ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্তঘেঁষা দুটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এখানকার মানুষের জীবনধারণের ভরসা পাহাড়ি ছড়া ও পুকুরের পানি। গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গিলাগড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ছড়ায় বালু সরিয়ে গর্ত করে পানি সংগ্রহ করছেন আমেনা খাতুন ও জোসনা বেগম। এ সময় জিজ্ঞাসা করতেই আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার কোমর লইয়া খারাইবার পারি না। কষ্ট কইরা এই ঝর্ণার পানি লইয়া খাইয়া বাঁচুন লাগে। সরকার যদি আমাগো একটা ব্যবস্থা করতো, তাইলে বিরাট উপকার অইতো।’ এমন আক্ষেপ শুধু আমেনা বেগমের নয়, ধোবাউড়া এলাকার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নের অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষের এমন আক্ষেপ দীর্ঘদিনের। সুপেয় পানির জন্য তাদের সংগ্রাম যেন শেষ হবার নয়। মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ছড়ার ময়লা পানি ও পুকুরের ঘোলা পানি দিয়ে গৃহস্থালির...
    পাহাড়ি বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে নিজের ভূপ্রাকৃতিক স্বকীয়তা জানান দেয় কমলগঞ্জ। উপজেলার প্রধান জলাধার ধলাই নদীর দুই পারে কমলগঞ্জের দুটি অংশ। স্থানীয়দের ভাষ্য, এই অঞ্চলের প্রান্তিক জনপদের জীবনসত্তার ধারক লাঘাটা নদী, যা সময়ের সঙ্গে প্রায় অস্তিত্বহীন। সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময়ের প্রাণসঞ্চারিণী এই লাঘাটা এখন একটি মুমূর্ষু মরা গাঙ মাত্র। গত কয়েক বছরের মধ্যে কোটি টাকা ব্যয়ে নদীটির খনন ও সংস্কার কাজ করেও লাভ হয়নি কিছুই। শুষ্ক মৌসুমের জীর্ণ লাঘাটা, বর্ষার পাহাড়ি ঢলের পানিতে হয়ে ওঠে সর্বগ্রাসী। দখল, দূষণ আর অপরিকল্পিত খনন কাজে অনিয়মের কারণে স্বাভাবিক গতিপথ ও প্রবাহ হারিয়ে এমন অবস্থা নদীটির। স্থানীয়রা জানান, তীরে ভাঙন, বুকে নাব্য সংকটে  জর্জরিত লাঘাটা নদীটি পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম। ঢলের পানির সঙ্গে আসা পলিতে নদী ভরাট হওয়ায় সেটি...
    গ্রামাঞ্চলের মানুষ সাধারণত নলকূপের পানি ব্যবহার করেন। ওয়াসা বা কোনো সংস্থা থেকে পানি কিনে ব্যবহারে তারা অভ্যস্ত নন। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিপুল ব্যয়ের এ প্রকল্পে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। তাই ছয় কোটি লিটার পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।  রোববার থেকে বাণিজ্যিকভাবে পানি সরবরাহ শুরু করেছে ওয়াসা। দেড় কোটি লিটার পানি সরবরাহের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ চট্টগ্রামের চার উপজেলায় মাত্র দুটি শিল্পকারখানা এবং হাজার খানেক আবাসিক গ্রাহককে সংযোগ দিতে পেরেছে ওয়াসা।  দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, কর্ণফুলী ও আনোয়ারায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, সরকারি ও বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কোরিয়ান ইপিজেডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়...
    নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচরে সুপেয় পানি লইয়া যেই হাহাকার দৃশ্যমান, উহা মনুষ্যসৃষ্ট। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধান চাষে ভূগর্ভের পানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারেই আলোচ্য সংকট তৈয়ার হইয়াছে। একই কারণে গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য গভীর নলকূপেও পানি মিলিতেছে না। পুকুর-জলাশয়েও পানির সংকটে অনেককে সুপেয় পানি ক্রয় করিতে হইতেছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লক্ষ লক্ষ মানুষের এইরূপ দুর্ভোগ নেহাত দুর্ভাগ্য নহে। সুবর্ণচর রবিশস্যের উপযোগী হইলেও স্থানীয় কৃষকরা যেইভাবে ধান চাষে ঝুঁকিতেছে, উহা উদ্বেগজনক। ইহাতে পানি সমস্যা, তৎসহিত পরিবেশের অন্যান্য সংকট বৃদ্ধিরও আশঙ্কা রহিয়াছে। সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুবর্ণচরে দুই যুগ পূর্বেও যথায় মাত্র ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হইত, এই বৎসর উহা ১৮ হাজার হেক্টরে উপনীত। এই ধান চাষে ব্যবহার হইয়াছে অর্ধকোটি কিউসেক পানি। যাহা উদ্বেগের, তন্মধ্যে ৭০ শতাংশ পানিই ভূগর্ভ হইতে উত্তোলন করিতে হয়।...
    কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে পানির সংকটে ভুগছেন হাজারো মানুষ। শুষ্ক মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পানি সংগ্রহের জন্য শুরু হয়েছে সংগ্রাম। বিশুদ্ধ পানির জন্য মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হয় ছোট-বড় সবাইকে। সরেজমিন উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রডিঙা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছয় বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস মায়ের সঙ্গে পানি সংগ্রহে এসেছে। প্রতিদিন দু’বার মা শহর বানুর সঙ্গে পাহাড়ি ছড়ার পাশে খোঁড়া কুয়া থেকে পানি আনতে হয় তাকে। কারণ সরকারিভাবে স্থাপিত গভীর নলকূপগুলোর পানি আয়রনযুক্ত, যা খাওয়ার অনুপযোগী। ফলে বাধ্য হয়েই স্থানীয়দের ছড়া, খাল কিংবা কুয়ার পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ পানির কষ্টে ভুগছেন। এখানকার গারো, হাজং ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা মূলত পাহাড়ি ছড়ার...
    যতদূরে চোখের ব্যাপ্তি, ততদূর সবুজ। অনাবাদি নেই একচিলতে জমিও। একসময় আমন ধান কাটার পরই শুষ্ক মৌসুমে মাঠে মাঠে ধুম পড়ত রবি ফসল চাষে। তরমুজ, ডাল, বাদাম, মরিচ, শীতকালীন সবজি, সরিষা, কালিজিরা, সূর্যমুখীতে হাসত চরের মাটি। তবে কয়েক বছরে বদলে গেছে নোয়াখালীর রবিশস্যের ভান্ডার উপকূলীয় জনপদ সুবর্ণচরের চাষাবাদ। রবিশস্য ছেড়ে বোরো (ইরি) ধান চাষ করছেন কৃষক। শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষই এখন সুবর্ণচরের জন্য অভিশাপ! খাল-বিল-ডোবায় ভরপুর মিঠাপানির রাজ্যে এখন পানীয় জলের হাহাকার। ধান চাষে ভূগর্ভের পানি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়িঘরের গভীর নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। পুকুর-জলাশয়েও পানি থাকছে না। সুপেয় পানি কিনে খেতে হচ্ছে অনেককে। এতে গৃহস্থালির কাজে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লাখ লাখ মানুষ দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন।  ধান চাষে ভূগর্ভের পানির ওপর অতিনির্ভরতাকে ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ...
    উল্লাপাড়ায় পা পিছলে গভীর নলকূপের ড্রেনে পড়ে গিয়ে হাসান (৫) নামের এক শিশু মারা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে কয়ড়া দত্তপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাসান ওই গ্রামের ইউসুব আলীর ছেলে।  কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবু তাহের জানান, ঘটনার সময় হাসান একা গভীর নলকূপের ড্রেনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এ সময় পা পিছলে ড্রেনের মধ্যে পড়ে যায়। নলকূপটি চালু ছিল। পানির তোড়ে হাসান অনেক দূর পর্যন্ত ভেসে যায়। স্থানীয়রা জানতে পেরে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কয়ড়া বাজারে নিয়ে যায়।  স্থানীয়রা তাকে ওপর করে পেট থেকে পানি বের করার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি। 
    চট্টগ্রামে পানি সংকট তীব্র হয়েছে। যেসব এলাকায় পানি আছে, মুখে তোলা যাচ্ছে না লবণাক্ততায়। অনেক অঞ্চলে মিলছে না ব্যবহারের পানিও। রমজানে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। নাকাল নগরবাসী ক্ষোভে ফুঁসছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত মাসের শেষ দিকে বন্দরনগরীর সুপেয় পানির উৎস কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদে ঢুকে পড়ে সাগরের পানি। সংকটের কারণে কাপ্তাই লেক থেকে পাওয়া যাচ্ছে না মিঠা পানি। লবণাক্ততা এড়াতে জোয়ারের সময় পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পানি সংগ্রহ বন্ধ রাখছে ওয়াসা। আবার গভীর নলকূপ থেকে যা উঠছে, তা মিশিয়েও কমছে না লবণের তীব্রতা। ফলে উৎপাদন কমে সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সামনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নগরীতে বিভিন্ন আকারের ৫ হাজার ৩০০ গভীর নলকূপ রয়েছে। অবৈধ নলকূপ আরও কয়েক গুণ। অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ পানি তোলায় এসব ভবনের...
    চলতি বোরো ধান রোপণ মৌসুমের শুরুতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সচ্ছল কৃষকরা সৌরবিদ্যুতে তাদের মাঠে সেচের জন্য অগভীর নলকূপ পরিচালনা করছেন। উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের কৈবর্তগাঁতী গ্রামের মাঠে আবু সাঈদ ও সোহরাব মোল্লা নামের দুই কৃষক প্রথমবারের মতো সৌরবিদ্যুতে সেচ পাম্প চালানো শুরু করেছেন। সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা গ্রহণের জন্য এ কার্যক্রমে তাদের ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এ কর্মকাণ্ডে আগ্রহী কৃষকদের সীমিত আকার সহযোগিতা দিচ্ছে। তাদের দেখে সৌরবিদ্যুতে অগভীর নলকূপ পরিচালনায় অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগে বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ও সুন্দর উদ্যোগ। কৈবর্তগাঁতী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আবু সাঈদ জানান, তিনি তাঁর স্কিমে ৪০ বিঘা জমিতে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে অগভীর নলকূপ পরিচালনার স্কিম করেছেন। সিরাজগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ তাদের এই নয়া কার্যক্রম...
    ‘বাসায় নিয়মিত পানি আসে না। কখনো সপ্তাহে তিন দিন পাই। কখনো দুই দিন। ফলে দূরদূরান্ত থেকে পানি সংগ্রহ করতে কিংবা কিনতে হয়। রোজায় কলসি ভরে পানি টেনে আনার মতো অবস্থা থাকে না। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার পানি চাই।’চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ এলাকার বাসিন্দা জোবায়দা আখতার পানি সরবরাহ নিয়ে এসব কথা বললেন। গত শুক্রবার দুপুরে চল্লিশোর্ধ্ব এই গৃহিণীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি সেমিপাকা একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তাঁর স্বামী সাইফুল ইসলাম পোশাকশ্রমিক। জোবায়দা জানান, পাঁচটি সেমিপাকা ঘর রয়েছে তাঁদের কলোনিতে। ভাড়া দিতে হয় ছয় হাজার টাকা করে। মাসে পানির জন্য বাড়তি আরও হাজার দেড়েক টাকা খরচ হয়। অন্তত এই রোজায় নিয়মিত পানি চান তিনি।শুধু আকবরশাহর বাসিন্দা জোবায়দা নন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ রোজার মাসে প্রতিদিন অন্তত একবার করে ওয়াসার পানি দেওয়ার দাবি...
    গৃহহীনের আশ্রয়দান নিশ্চিত করার অভিপ্রায়ে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হয়েছিল। তবে খুলনার কয়রা উপজেলার গুচ্ছগ্রামগুলোর বর্তমান অবস্থা কেবল নীতিগত ব্যর্থতার নিদর্শন নয়, বরং এটি আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার টেকসই কাঠামোর দুর্বলতাকে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করছে। এখানকার গুচ্ছগ্রামগুলোর বিদ্যমান অবস্থায় প্রতীয়মান হয়, এ প্রকল্প কেবল কাগজে-কলমেই সুচিন্তিত ছিল; বাস্তবায়নোত্তর সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সুদূরপ্রসারী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।প্রাকৃতিকভাবে দুর্গম চরে প্রতিষ্ঠিত এসব বসতি ক্রমান্বয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা অনুপস্থিত, নলকূপ অকেজো, বিদ্যুতের সংযোগ অপ্রতুল এবং ঘরগুলোর ভৌত অবকাঠামো ভঙ্গুর। মৌলিক নাগরিক সুবিধার অভাব এতটাই প্রকট যে হতাশাগ্রস্ত বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে গুচ্ছগ্রাম পরিত্যাগ করছেন; যা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের মুখ্য লক্ষ্য ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। জোয়ারের তোড়ে ঘরগুলোর মেঝে ক্ষয়প্রাপ্ত...
    চারঘাট উপজেলার শলুয়া-বালুদিয়াড় বিল। দেড় যুগ আগে সেচ সংকট মেটাতে এ বিলে গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। তখন এর নলকূপের আশপাশে কোনো পুকুর ছিল না। গত এক যুগে এর চারপাশের অন্তত ৮০ ভাগ জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। ফলে চলতি বছর নলকূপের আওতায় ১৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। অথচ প্রায় ১১৫ বিঘা জমির পুকুরে হয়েছে মাছ চাষ। সদর ইউনিয়নের চৌধুরীর বিলেও দেড় যুগ আগে স্থাপন করা হয় গভীর নলকূপ। তখন মাত্র দুটি পুকুর ছিল। এখন এর আওতায় থাকা জমির ৯৫ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে। চলতি বছর এ নলকূপের আওতায় বোরো ধান চাষ হয়েছে মাত্র পাঁচ বিঘা জমিতে। আশপাশের প্রায় শত বিঘা জমিতে হচ্ছে মাছ চাষ। শুধু শলুয়া কিংবা চৌধুরীর বিল নয়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ)...
    নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে ‘আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর’ নামের একটি সংগঠন। পানির সংকটে ভুগতে থাকা এলাকায় নলকূপ স্থাপন করেছেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। গতকাল শুক্রবার স্থাপন করে আজ শনিবার সকালে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এই নলকূপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভালোবাসার টিউবওয়েল’।প্রয়োজনীয় পানির জন্য আর অন্যের বাড়িতে ধরনা দিতে হবে না সুমিয়া (৪৫), হাসিবুন (৪৭) ও আজিয়া বেগমকে (৫২)। গোসলের জন্য দূরেও যেতে হবে না। বিধবা আজিয়া বেগম বলেন, রাতে পানির প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে অনেক সমস্যায় পড়তেন। বাড়ির সামনে নলকূপ স্থাপন করায় আর কোনো সমস্যা হবে না।সুমিয়া, নাজমুনসহ অন্য উপকারভোগীরা জানান, গোসলের জন্য মানুষের বাড়ি থেকে পানি আনতে হতো। কিন্তু এখন তাঁদের আর কষ্ট করতে হবে না। তাঁদের বাড়ির পাশেই এখন নলকূপ।সংগঠনের উপদেষ্টা এসরার আনসারি বলেন, ‘আসলে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ...
    সাদুল্লাপুরে বোরো জমিতে সেচের মূল্য নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন কৃষক ও নলকূপ মালিকরা। একপক্ষ বলছেন সেচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। অন্যপক্ষের দাবি পাঁচ বছর আগের মূল্য তালিকা মেনে সেচ সুবিধা দিলে লোকসান গুনতে হবে তাদের। তারা তালিকা হালনাগাদের দাবি জানিয়েছেন। দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ফসল আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার জন্য সরকারিভাবে ২০২০ সালে সর্বশেষ সেচ চার্জ নির্ধারণ হয়। সেচ কমিটি ৩৩ শতাংশে (এক বিঘা) জমি ধরে  মূল্য তালিকা নির্ধারণ করেন। রসুলপুর, নলডাঙ্গা, দামোদরপুর, কামারপাড়া, জামালপুর, বনগ্রাম, ভাতগ্রাম, ফরিদপুর ও ক্ষোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নে প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ ১ হাজার ২০০ টাকা। লাল মাটির খিয়েরি এলাকার হওয়ায় ধাপেরহাট ও ইদিলপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০০ টাকা সেচমূল্য নির্ধারণ করা হয়। জয়েনপুর গ্রামের কৃষক মোজাফ্‌ফর হোসেন এবার নলকূপ মালিককে বিঘাপ্রতি ২ হাজার...
    ‘বৃষ্টি নামলে পোলাপাইন নিয়ে ঘরের এক কোনায় ঘাপটি মেরে বসে থাকি, কখন বৃষ্টি থামবে। বৃষ্টি না থামলে কখনও কখনও সারারাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে হয়। খাওয়া-গোসলের পানি নেই। বাথরুম করতে হয় খোলা মাঠে।’ কথাগুলো বলেন পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলেরটেক আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক বাসিন্দা। ২০০৪ সালে সান্তানপাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করে ভূমি ও গৃহহীন ১৩০টি পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১৩টি ব্যারাকের প্রতিটিতে ১০টি পরিবার বসবাস করে। কয়েক বছর আগে ৭টি ব্যারাকের কিছু টিনের চাল মেরামত করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যারাকের ৬০টি পরিবারের ঘর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রায় ১২০০ মানুষ বাস করছে। বিশুদ্ধ পানি সংকট, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।...
    ভরা মৌসুমে চালের বাজারে আগুন নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। বইয়ে পড়া নানা তত্ত্ব আর তথ্যের গুরুগম্ভীর আলোচনা যখন জমে উঠেছে, তখন পাশ থেকে আলী বাকের বললেন, ‘আসলে আমন ফেল—এটাই সত্যি, আমাগেরও কিনি খাওয়া লাগবি।’আমরা বলছিলাম সিন্ডিকেটের কথা তো চাঁদাবাজির কথা, মজুতদার আর মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্যের কথা; আর সরকারের ব্যর্থতার কথা আছেই। সরকারের ব্যর্থতার বয়ান ছাড়া এখন কোনো আলোচনা জমে না।মালয়েশিয়াফেরত আলী বাকের এখন মন–দিল দিয়ে চাষবাস করেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল বকর আলী। সেখান থেকে ঘোল খেয়ে ফেরত আসার পর এখন আলী বাকের। সে অন্য কাহিনি। মালয়েশিয়ার চক্করে জমিজিরাত হারিয়ে আলী বাকের এখন ‘কন্টাক্ট চাষি’।ভাগ চাষি বা বর্গা চাষি বলে এখন আর কিছু নেই। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ফসল ফলাতে হয়। আলী বাকের...
    তরল পদার্থে ভরা বোতল দুটি পাশাপাশি রাখা। রং প্রায় একই; কিন্তু তরল দুটি ভিন্ন। বোতল দুটির ঢাকনা সরিয়ে নাকের কাছে নিতেই একটিতে পেট্রলের গন্ধ পাওয়া গেল। অপরটিতে কোনো গন্ধ নেই। গন্ধহীন বোতলটিতে আসলে খাওয়ার পানি রাখা। পটুয়াখালীর কলাপাড়াবাসী বেঁচে আছেন পেট্রলের মতো হলদেটে এই পানি খেয়ে।জানা গেল, এই অদ্ভুত রঙের পানি ওঠে গভীর নলকূপ থেকে। যুগের পর যুগ খাওয়া, রান্না, গোসলসহ গৃহস্থালির সব কাজে নিয়মিত এই পানি ব্যবহার করছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মানুষ। পানির এই রঙের সঙ্গে তাঁরা এমনভাবে অভ্যস্ত, যেন পানির এটাই আসল রং। মোস্তাক মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা তো বলেই বসলেন, কলাপাড়ার গভীর নলকূপের পানির মতো মিঠাপানি তিনি আর কোথাও খাননি। তবে কলাপাড়ায় প্রথম যাওয়া যে কেউ এই ‘সুস্বাদু’ পানি দেখেই আঁতকে উঠবেন। মুখে দিতে বা ব্যবহার...
    শাজাহানপুরে গভীর নলকূপের অপারেটর আবু সুফিয়ান সুমনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলে অপারেটর নিয়োগে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সেচ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেড়শ বিঘা জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  বিএমডিএ বগুড়া রিজিয়নের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগের পেয়ে খোট্টাপাড়ায় নলকূপের অপারেটর নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  ২০১৫ সালে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) জালশুকা, খোট্টাপাড়া, জুসখোলা গ্রামে গভীর নলকূপ স্থাপন করে। বেশ কয়েক বছর ধরে এ এলাকার আওতায় নলকূপের অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন খোট্টাপাড়া গ্রামের আবু সুফিয়ান সুমন।  অভিযোগ রয়েছে আবু সুফিয়ান সুমন বিএমডিএর নীতিমালা উপেক্ষা করে জমিতে সেচ দেওয়া শুরু করেন। বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে চার আনা এবং আমন মৌসুমে দুই আনা ধান নেন। এতে...
    চাল উৎপাদনের সবচেয়ে বড় মৌসুমে বোরো আবাদে মাঠে নেমেছেন কৃষক। বোরো থেকে আসে দেশের ৬০ শতাংশ চালের জোগান। এ ধান চাষে নেমেই কৃষক মেলাতে পারছেন না উৎপাদন খরচের হিসাব। সার-সেচসহ কৃষির সব উপকরণে টানতে হচ্ছে বাড়তি খরচের বোঝা। এ কারণে মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে কৃষকের ঘরে ঘরে। উৎপাদিত ধান বেচে খরচ তুলতে না পারার ঘোরে আছেন তারা। রাজনৈতিক ডামাডোলে কৃষকের কষ্টের রোদন সরকারের কানে পৌঁছে না। দুঃসময়ে দেশের মানুষকে যারা ফসলের জোগান দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন, সেই কৃষকের কথা ভাবছে না কেউ। ফলে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচের চোটে ধান আবাদ টিকিয়ে রাখা দরিদ্র কৃষকের কাছে দুঃসাধ্য ঠেকছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বোরো মৌসুমে কৃষিতে বাড়তি মনোযোগ না দিলে কৃষি অর্থনীতিতে দেখা দিতে পারে দুই ধরনের সংকট। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের ন্যায্য দাম...
    ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে আসা মহারশি নদী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই নদীর এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে দুটি সেতু। একটি ঝিনাইগাতী বাজারে, অপরটি নলকুড়া ইউনিয়নের রাবারড্যাম এলাকায়। সেতু দুটির মাঝখানে রয়েছে ১৫টি গ্রাম। কোনো সেতুই তাদের কোনো উপকারে আসছে না। ফলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন একটি সেতুর দাবি করে এলেও আমলে নিচ্ছে না কেউ। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, নীতিমালা অনুযায়ী একটি সেতু থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে আরেকটি সেতু নির্মাণের অনুমতি নেই। ফলে এলজিইডি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠালেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। জানা গেছে, নলকুড়া ভারুয়া, জামতলা, কুসাইকুড়া, গজারিকুড়া ডাকাবর রামেরকুড়া, নুনখোলা, শালচুড়া, ডেফলাই, ফাকরাবাদ, বনকালি, মরিয়মনগর, জারুলতলাসহ ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষকে প্রতিদিন ঝিনাইগাতী সদরে আসতে...
    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীর নোয়াকান্দি মৌজায় একটি গভীর নলকূপ বসায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ডিজেলে চলা এই নলকূপ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ওই এলাকার ৩০০ বিঘা জমিতে সেচের চাহিদা মিটিয়ে আসছিল। বছর পাঁচেক আগে সেটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়। বসানো হয় ট্রান্সফরমার। অল্পদিন পরই কোনো এক রাতে চুরি যায় সেই ট্রান্সফরমার। এর পর থেকেই বন্ধ হয়ে আছে নলকূপটি।  কৃষকরা জানিয়েছেন, নলকূপ বন্ধ হওয়ার পর এলাকায় দুটি অগভীর নলকূপ বসানো হয়। এতে মাত্র ৫০ বিঘার মতো জমি আবাদ করা যাচ্ছে। বাকি ২৫০ বিঘা জমিই পড়ে থাকছে অনাবাদি। এক সময় ৩০০ বিঘা জমিতে অন্তত ৩০০ টন ধান উৎপাদিত হতো। এলাকাবাসী এখন ২৫০ টন ধান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মঙ্গলবার কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি গিয়ে দেখা যায়, গভীর নলকূপের পাম্প হাউসটি বন্ধ। এর দেয়ালে...
    দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ ঘর। এসব ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জমি ও বাড়ি আছে এমন লোকজনও বরাদ্দ পেয়েছেন। যে কারণে আশ্রয়ণের অনেক ঘর শুরু থেকেই তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। আবার যারা বসবাস করছেন, তাদের অনেকের নামে বরাদ্দ নেই। রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মের ব্যবস্থা না থাকার কারণেও চলে গেছেন অনেকে। চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নান্দাইল উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড়ে অবস্থিত। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত এ প্রকল্পে রয়েছে ৭৩টি ঘর। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এসব ঘরে গৃহহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারের বসবাস করার কথা। ২০২২ সালের ২১ জুলাই প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। ওইদিন প্রকল্পের আঙিনায় জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরের দলিল...
    ‘আশপাশে কাজ করে খাওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করার মতো প্রতিষ্ঠানও নেই। বাড়ি-জমিওয়ালারা অনিয়ম করে ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। তাদের অনেকে এখানে থাকছেন না।’ কথাগুলো ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী তাহের মোড়লের (৭০)। অন্য বাসিন্দা আছির উদ্দিনের ভাষ্য, তাঁর নামে কোনো ঘর নেই। বিউটি নামে একজনের নামে বরাদ্দ ঘরে থাকেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যারা থাহে না, তারা ঘর পাইছে। আমি থাহি, আমার নামে ঘর নাই।’ এ ধরনের নানা সংকটে চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই-তৃতীয়াংশ ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানা গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও কাজের ব্যবস্থা না থাকায় প্রকল্পটিতে এখন অনেকে বসবাস করছেন না। বরাদ্দে অনিয়মের কারণে অনেক ঘর শুরু থেকেই  তালাবদ্ধ রয়েছে। যারা থাকছেন, তাদের অনেকের নামে বরাদ্দ নেই। উপজেলার চর...
    পাম্প স্টেশন আছে, অথচ বিকল মোটর। আবার কোথাও মোটর আছে, কিন্তু পাইপ ও ফিল্টার নষ্ট। এমন চিত্র কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকার ১২টি পাম্প স্টেশনের। দীর্ঘদিন ধরে  এসব গভীর নলকূপ বিকল হয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পানি না পেয়ে নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তাদের অভিযোগ, পানি না মিললেও নিয়মিত পানির বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। পানির সংকট  নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও প্রতিকার মিলছে না। তবে এ সংকটের জন্য কুসিক কর্তৃপক্ষ দায় চাপাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ওপর। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পাম্প স্টেশন হস্তান্তরের পর মেরামত ও দেখভালের দায়িত্ব কুসিকের।  নগরীতে জনসংখ্যা ৮ লক্ষাধিক। এখানে নিম্ন আয়ের নাগরিকদের অনেকেরই ভরসা কুসিকের সরবরাহকৃত পানি। ২৬০ কিলোমিটার পাইপলাইনে আবাসিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে পানির...
    বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) দুই দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান ও ‘ভূগর্ভস্থ সেচ নালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকার সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শহীদুর রহমানের দপ্তরে অভিযান চালান দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের দলটির নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। অভিযানে ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন এবং উপ-সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান। তারা জাহাঙ্গীর আলম খানের দপ্তরে বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র দেখেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ জেলায় বিএমডিএর ১৬ হাজারের বেশি গভীর নলকূপ রয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর সব অপারেটরের নিয়োগ বাতিল করা হয়। এরপর নতুন অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ...
    শরীয়তপুর জেলার প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এসব নলকূপের পানি পরীক্ষা করে আর্সেনিকের এই অসহনীয় মাত্রা পেয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।  এসব নলকূপের পানি খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব নলকূপে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা প্রতি লিটারে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম হলেও শরীয়তপুরের এই নলকূপগুলোর পানিতে প্রতি লিটারে শূন্য দশমিক ১ মিলিগ্রাম আর্সেনিকের মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৬০ দশকে প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম। এরপর ১৯৯৩ সালে তা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রামে কমিয়ে আনা হয়; কিন্তু বাংলাদেশ ১৯৬৩ সালের সেই মাত্রা আর পরিবর্তন করেনি। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্ পরান প্রথম...
۱