Samakal:
2025-09-17@23:15:54 GMT

নিজের যত্ন নিন

Published: 22nd, April 2025 GMT

নিজের যত্ন নিন

আপন স্বাস্থ্য কার না প্রিয়? অথচ কর্মমুখী ব্যস্ততা, চারপাশের দায়িত্ব ও সামাজিক চাপে আমরা নিজের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি ভুলে যাই। যার ফলে রোগব্যাধি কিংবা বিষণ্নতায় দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। নিজের যত্ন নেওয়া বলতে দামি স্কিন কেয়ার কিংবা স্পা নয়। নিজের যত্ন বলতে আপনার শারীরিক, আধ্যাত্মিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য– সবকিছু যত্ন নিতে হবে।
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও জীবনকে রঙিন করতে পারে। অনেকে শারীরিক সুস্থতাকে প্রাধান্য দিলেও মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্বহীন মনে করে, যা একদম করা উচিত নয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু অভ্যাস আমাদের জীবনকে আরও বেশি প্রাণবন্ত করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী করবেন
মেডিটেশন বা ধ্যান: মেডিটেশন এবং গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, কর্টিসলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সময় মেডিটেশন করলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মন শান্ত থাকবে। একই সঙ্গে স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
অবসরে নিজের পছন্দের কাজগুলো উপভোগ করুন 
অবসরের ভালো লাগা ও প্রশান্তির জন্য বেছে নিন নিজের পছন্দের কাজের অনুশীলন। সেটি হতে পারে বই পড়া, গান শোনা, নিজের জন্য বা আপনার প্রিয়জনের জন্য রান্না করা, আপনার কোনো পোষা প্রাণী থাকলে তার সান্নিধ্যে সময় কাটানো, ছোটদের সঙ্গে গল্প করা বা পরিবারের সঙ্গে কোনো সিনেমা দেখা। সর্বোপরি যেসব কাজ আপনাকে খুশি করে, তা করার চেষ্টা করুন। 
ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে রাখুন
অবসর বলতে এখন আমরা অনেকেই মনে করি কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা সোশ্যাল  মিডিয়ায় সময় কাটানো। এ অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কে উদ্বেগ, উত্তেজনা ও হতাশার জন্ম দেয়। তাই কখনও কখনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়। এর পাশাপাশি মনে প্রশান্তিও বাড়ে।
বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে কথা বলুন 
একাকিত্ব মানসিক রোগের একটি প্রধান কারণ। তাই সময় পেলে নিজের বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে কথা বলুন। তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে প্রশান্তি অনুভব করবেন। আপনার প্রতিদিনের ভাবনা কিংবা জীবনের অভিজ্ঞতা অন্যজনের সঙ্গে ভাগ করে নিলে অনেক সময় বিষণ্ন মনও হালকা হয়ে যায়। এতে হতাশা কিংবা হীনম্মন্নতা মন থেকে দূর হয়। অনুকূল পারিবারিক পরিবেশ এবং কাছের মানুষের সান্নিধ্য বিচ্ছিন্নতা কমায়।
নতুন দক্ষতা চর্চা করুন
গবেষণায় দেখা যায়, নতুন দক্ষতা শেখা মানসিক সুস্থতা উন্নয়নে সহায়ক। কর্মক্ষেত্রে অথবা শখের বসে নতুন কোনো দক্ষতা আপনার মনের কোণে সুখের দোলা দেয়। এটি হতে পারে ক্রাফটিং, চিত্রাঙ্কন, সেলাই, রংতুলি দিয়ে রাঙানো, নতুন স্কিল অর্জন বা উদ্ভাবনী চিন্তা করা। এটি আপনার মন ফুরফুরে রাখবে। একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী করতে সাহায্য করবে। 
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন
যেকোনো সিদ্ধান্ত, মতামত বা অভিজ্ঞতা থেকে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা উচিত। কারণ নেতিবাচক মনোভাব আমাদের মনকে বিষিয়ে তোলে। কোনো কাজে ব্যর্থ হলে হতাশ না হয়ে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে সেই কাজ শুরু করতে হবে। অতীতে ঘটে যাওয়া খারাপ অভিজ্ঞতা নিয়ে চিন্তা করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা সহায়ক নয়। নেতিবাচক ভাবনা থেকে দূরে থাকুন। নেতিবাচক চিন্তা আমাদের মনকে দুর্বল করে এবং হতাশা তৈরি করতে পারে।
বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ দিন
বর্তমান মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ দিলে আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত হবে। এ মুহূর্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, শরীর ও চারপাশের জগৎ। কেউ কেউ এ আত্মসচেতনতাকে ‘মাইন্ডফুলনেস’ বলে। মাইন্ডফুলনেস আপনার জীবনকে আরও উপভোগ করতে ও নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
না বলতে শিখুন
সময় বাঁচাতে না বলতে শিখুন। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ এড়িয়ে যান।
‘মেন্টাল হেলথ আমেরিকা’-এর তথ্য অনুযায়ী, আপনি যদি সবসময় অন্যদের খুশি করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার নিজের মানসিক চাপ বেড়ে যায়। তাই সময়মতো না বলতে শিখুন। 
এতে আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নিজের যত্ন নেওয়া মানে 

নিজেকে ভালোবাসতে হবে। মনে রাখবেন, এ ভালোবাসা স্বার্থপরতা নয়, বরং আত্মসচেতনতার একটি রূপ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন জ র যত ন ন আম দ র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
  • ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান