শেষ চার টেস্ট ইনিংসে রান ০, ২, ৪ ও ৪। ১২ ইনিংসে নেই ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই অত্যন্ত বাজে শটে ফিরেছেন সাজঘরে। তাইতো প্রশ্ন উঠছে, মুশফিকুর রহিমের কি সময় ফুরিয়ে এসেছে?

মুমিনুল হকের উত্তর, ‘না।’ তার মতে, যেহেতু ওয়ানডে ও ক্রিকেটে অবসর নিয়ে মুশফিকুর কেবল টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন, এখানে তার পূর্ণ মনোযোগ। সামনে তার ভালো করার অনেক সুযোগ রয়েছে। সঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকুরের অবদান ভুলে না যেতে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৯৫ টেস্ট খেলতে নেমেছেন। টেস্টের সেঞ্চুরি করার ইচ্ছা রয়েছে তার। কিন্তু সেই পর্যন্ত টিকবেন তো? দলও কি অফফর্মে থাকা মুশফিককে টানবে? দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের কাছে সেই প্রশ্ন টেস্ট শুরুর প্রথম দিন করা হয়েছিল। বিশ্রাম দিয়ে তাকে খেলানো যায় কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তর দিতে চাননি।

আরো পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত দিনে স্বস্তির সঙ্গে আছে শঙ্কাও

নাহিদের তৈরি মঞ্চে আলো ছড়ালেন মিরাজ

সাবেক অধিনায়ক মুমিনুলেরও অজানা কত ইনিংসে ব্যর্থ হলে দল থেকে কেউ বাদ পড়তে পারেন কিংবা বিশ্রাম দিয়ে আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব? তার কথা, ‘‘আমি জানি না। আমার কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই।’’

মুশফিকুরের নিবেদন, পরিশ্রম নিয়ে প্রশ্ন নেই কারোই। অনুশীলনে সবার আগে আসা। অনুশীলন থেকে সবার পর বের হয়ে যাওয়া, এসবে মুশফিক সবার চেয়ে এগিয়ে। বরং পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবে তার আলাদা কদর রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রান না পাওয়ায় তার অবস্থান নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।

মুমিনুল অবশ্য এসব কিছু নিয়ে ভাবতে নারাজ। বরং সতীর্থর জন্য ফ্রন্ট ফুটে এসে ব্যাটিং করলেন মুমিনুল, ‘‘আমি কোনোভাবেই উনাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। এতোদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন উনি জানেন কিভাবে ব্যাক করতে হয়। কিভাবে রান করতে হয়। আমার মনে হয়, আপনাদের, আমার সবার ভুলে যাওয়া উচিৎ হবে না উনি বাংলাদেশ দলের জন্য কি করেছেন। উনার রানটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। উনি কত কি করতে পারেন। উনি যখন খেলেন তখন ম্যারাথন ইনিংসই খেলেন। আমার মনে হয় এতো তাড়াতাড়ি কোনো জিনিস…।’’

‘‘উনি যা যা অর্জন করেছেন টেস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ওইটা কোনোভাবেই ভুলে যাওয়া যাবে না। আমার কাছে মনে হয় উনি এখন টেস্টে আরো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবেন। কেননা দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। এক ফরম্যাটে মনোযোগ দেবেন। আমার কাছে মনে হয় আগে যতটা ভালো খেলত এখন আরো ভালো খেলবে। একটা ফরম্যাট যখন খেলবেন তখন একটা লাইনেই আপনি থাকবেন। তখন পারফর্ম করাটা সহজ হয়ে যায়।’’ – যোগ করেন মুমিনুল।

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ