জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ও হামলার সঙ্গে জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং বিচার নিশ্চিতের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হুঁশিয়ার, সাবধান’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, ছাত্রলীগের বিচার চাই’, ‘ছাত্রলীগের ঠিকানা, জাহাঙ্গীরনগরে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত ২৬৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শাস্তি

জুলাই হামলার বিচার দাবিতে জাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও অমর একুশে ভাস্কর্য সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় জাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক হুমায়ূন হাবিব হিরণ বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম হামলা ও গুলি চালিয়েছে, তাদের বিচার না হলে আমরা কেউ নিরাপদ না। ইতোমধ্যে ২৫৯ জন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আমরা চাই বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে। এ রকম অনিরাপদ পরিস্থিতিতে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুঁশিয়ারী দিয়ে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে জুলাই-আগস্টের হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তা না হলে আমরা শীঘ্রই প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ডাক দিতে বাধ্য হব।”

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকসহ সংগঠনের প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আরিফুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ন ত কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ