জীবনযাত্রার মান নিয়ে অসন্তোষের কথা ফিজির প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন ২৬ বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকাকে। বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের জীবনযাত্রার মান সন্তোষজনক নয়। পর্যাপ্ত খাবারও পান না। নিয়োগের চুক্তি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ করেছেন তারা।

বাংলাদেশি শ্রমিকদের এসব অভিযোগ শুনে জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং তাদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের জন্য নিয়োগদাতাদের প্রতি  আহ্বান জানান রাবুকা। একই সঙ্গে দেশটির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। খবর- দ্য ফিজি টাইমস 

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিজির ‘সেন্ট্রাল ডিভিশনের’ একটি সুপার মার্কেটে কাজ করেন এসব শ্রমিক। চলতি সপ্তাহে রাবুকার সঙ্গে কথা হয় এসব শ্রমিকের। ওই সাক্ষাতে নিজেদের ‘দুর্দশার’ কথা তুলে ধরেন তারা। তাদের অভিযোগ, পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে ফিজিতে কাজ করাটা তারা উপভোগ করতে পারছেন না।

অভিযোগ শুনে নিয়োগদাতাদের উদ্দেশ প্রধানমন্ত্রী রাবুকা বলেন, কোনো শ্রমিকেরই এমন পরিবেশে বসবাস করা উচিত নয় যা তাদের মর্যাদার সঙ্গে যায় না। আইন মেনে চলা এক বিষয়। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করা আরেকটি বিষয়।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে ফিজির অনেক শ্রমিক কাজ করেন। তারা বৈষম্যের শিকার হোক, তা আমরা কখনও চাই না। ফলে এখানে যেসব বিদেশি কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রেও আমাদের প্রত্যাশা একই রকম হওয়া উচিত।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মল সৈকতের জন্য বিখ্যাত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ফিজিতে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি শ্রমিক কাজ করেন যার অর্ধেকের বেশি বাংলাদেশি। 

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অসন ত ষ ট প রব স জ বনয ত র র ম ন ক জ কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ