নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের আলীনগরে দুই পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন শিকদার (১৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২ মে) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে ভাই রাসেল মিয়া জানিয়েছেন। 

রাজন রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়নের আলীনগর এলাকার ফজলু মিয়ার ছেলে ও সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।

নিহতের ভাই রাসেল মিয়া বলেন, “গত ২৭ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে আলীনগর বাজার মোড়ে ক্যারাম খেলছিলেন রাজন। তখনই মধ্যনগরের জাহাঙ্গীর ও তার লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাঁশগাড়ী এলাকার এক অটোরিকশাচালকের। ঝগড়া থামাতে এগিয়ে যান রাজনসহ আশপাশের লোকজন। পরে অটোরিকশাচালককে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয় তারা। ঘটনার পর জাহাঙ্গীর ও তার অনুসারীরা সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে আলীনগরে একটি দোকানে হামলা চালায়। সেখানে রাজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। হামলায় আহতাবস্থায় রাজনকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।”

রাসেল মিয়া আরও বলেন, “সেদিন আমার বিকাশের দোকানেও হামলা চালায় তারা। দোকান ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা লুট করে। ভাই রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।”

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার ঘোষ জানান, একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জানি না। নিহতের স্বজনরা থানায় অভিযোগ দিতে যোগাযোগ করেছেন।

ঢাকা/হৃদয়/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ আল নগর

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন

ছয় কক্ষের পুরোনো একটি একতলা ঘর। ঘরের পেছনের দিকের ১৫ বর্গফুটের একটি কক্ষ। সেই কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে আছে উড়োজাহাজ ও ড্রোনের নানা আদল, বৈদ্যুতিক ডিভাইস ও তার। আছে ল্যাপটপ ও সাদা খাতা। সেই সাদা খাতায় আবার নানা নকশা আঁকা। কক্ষটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার একেবারে দক্ষিণে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে অবস্থিত এই ল্যাব স্থানীয় তরুণ আশির উদ্দিনের। এই ল্যাব থেকেই একের পর এক ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি উড়োজাহাজের নমুনা ও ২০ থেকে ২৫টি ড্রোন তৈরি করেছেন আশির উদ্দিন। সব কটিই সফলভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে তিন থেকে চার লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগেআশির উদ্দিন

২০১৫ সালে এসএসসি পাস করেন আশির। এরপর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন। আশির জানান, এসএসসি শেষ করার পর শখের বশে মোটর দিয়ে খেলনা নৌকা বানানো শুরু করেন তিনি। একদিন ছাদে বসে নৌকা বানানোর সময় দেখেন মাথার ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ যাচ্ছে। তখনই এর আদলে ছোট উড়োজাহাজ বানানোর কথা মাথায় আসে। জানান, এরপর অত্যাধুনিক সব উড়োজাহাজের নমুনা তৈরি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শুরু করেন ড্রোন বানানো। এলাকার আকাশেই এসবের উড্ডয়ন ও অবতরণের পরীক্ষা করা হয়। তাঁর নির্মাণ করা ড্রোন গোয়েন্দা নজরদারি, যুদ্ধসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যায় বলে জানান আশির।

আশির উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে বেশ কিছু ড্রোন বিক্রি করেছি। ১০ কেজি ওজনের একটি ড্রোনের দাম মানভেদে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের ড্রোন ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। একটি ড্রোন তৈরিতে ৬ জনের টিমের ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে।’

নিজের ল্যাবে তৈরি করা একটি ড্রোন নিয়ে আশির উদ্দিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুপস্থিতি কমাতে প্রয়োজন টেকসই পদক্ষেপ
  • গ্রামে বসে ড্রোন বানান তরুণ আশির উদ্দিন
  • এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিচ্ছেন না সোয়া ৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
  • এসএসসিতে অনুপস্থিতির বড় কারণ বাল্যবিবাহ